সম্প্রতি আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসির স্ত্রী আন্তোনেলা রোকুজ্জোর দোকানে গুলি চালানোর পর হুমকিও দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনায় মেসি ও তার পরিবারের স্বাভাবিক জীবনযাপন নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম কাদেনা-৩ তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ওই ঘটনার পর মেসির পরিবারের পক্ষ থেকে কাউকে কথা বলতে দেখা যায়নি। তবে, মেসির মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার বরাত দিয়ে সংবাদকর্মী পেনোরারি কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন।
পেনোরি বলেন, ‘আমার সঙ্গে মেসির মায়ের কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন ওই সুপারমার্কেটটি ছিল রোকুজ্জোর। তবে, যাই হোক আমরা তো আর বন্দিজীবন কাটাতে পারব না। আমরা স্বাভাবিকভাবেই চলাফেরা করছি।’
এর আগে বুধবার দিনগত রাত ২টার (স্থানীয় সময়) দিকে আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসির শ্বশুরের দোকানে গুলি চালিয়েছে অজ্ঞাত দুই ব্যক্তি। মোটরসাইকেল যোগে এসে বন্ধ থাকা দোকানের দরজায় তারা এলোপাতাড়ি ১৪টি গুলি চালান।
কেবল তাই নয়, ‘মেসি, আমরা তোমার অপেক্ষায় আছি’ লেখা একটি চিরকুটও রেখে গেছেন দুর্বৃত্তরা। গুলি করার সময় মার্কেট বন্ধ ছিল। বাইরে থেকে স্টিলের দরজায় গুলি করে মোটরসাইকেল নিয়ে চলে যায় দুজন। চলে যাওয়ার আগে রাস্তায় একটি কাগজ ফেলে যায়। সেই কাগজে মেসিকে হুমকি দেওয়ার কথা লেখা রয়েছে।
আর্জেন্টিনার অপরাধ তদন্ত বিভাগ এআইসি ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি আর্জেন্টিনায় নাও ফিরতে পারেন মন্তব্য করে মেসির সাবেক জাতীয় দল সতীর্থ গ্যাব্রিয়েল হেইঞ্জ বলেছেন, ‘এমন হুমকি মেসি এবং তার পরিবারকে নিজ দেশ থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে।’
বর্তমানে নিউওয়েল’স ওল্ড বয়েজ রোজারিওর কোচ গ্যাব্রিয়েল হেইঞ্জ। ২০০৫ থেকে ২০১০ পর্যন্ত মেসির সঙ্গে ভাগাভাগি করেছিলেন ড্রেসিংরুম। মেসির পরিবারের ওপর হামলা এবং চিরকুটের হুমকি দেওয়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ সাবেক আলবিসেলেস্তে তারকা বলেছেন, ‘লিও আর্জেন্টিনায় ফিরতে চায়। কিন্তু একদল মাদক পাচারকারীর হুমকি রোজারিও তারকাকে ভাবতে বাধ্য করবে। এটাই স্বাভাবিক।’রোজারিওতে মেসির একটি বাড়ি আছে। খেলোয়াড়ি জীবনের ব্যস্ততার ফাঁকে ছুটি পেলে মাঝেমধ্যে রোজারিওর সেই বাড়িতে গিয়ে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে থাকেন মেসি। বিশেষ করে বড়দিনের ছুটিটা মেসি সেখানেই কাটান। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের পর সেই বাড়িতেই উদ্যাপন করেন মেসি।