বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়াতে পারবে তো ?

বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়াতে পারবে তো ?

স্পোর্টস ডেস্ক :

ঘরের মাঠে বাংলাদেশ ভয়ংকর দল। ৫০ ওভারের ক্রিকেটের পরিসংখ্যান অন্তত সেটাই বলে। দীর্ঘ ৯ বছর ধরে এই ফরম্যাটে ঘরের মাঠে কোনো সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়নি বাংলাদেশ। কিন্তু সেই পরিসংখ্যান এবার বদলে দিতে চাচ্ছে ইংল্যান্ড। ঘরের মাঠে ইংলিশদের বিপক্ষে চলমান ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশকে চোখ রাঙাচ্ছে হোয়াইটওয়াশ। সাগরিকায় এই হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়াতে পারবে তো বাংলাদেশ?

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুটিতে জিতে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে ইংল্যান্ড। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে আগামীকাল সোমবার (৬ মার্চ) ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টায়।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই চলতি বছরের প্রথম আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। ‘হোম অব ক্রিকেট’ গ্রাউন্ডে অন্যদের ওপর দাপট দেখাতে পারলেও ইংল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না বাংলাদেশ। এক ম্যাচে ডেভিড মালান তো অন্য ম্যাচে জস বাটলার। দুজন মিলে দুই সেঞ্চুরিতে হতাশায় ডোবালেন বাংলাদেশকে।

এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই ৬ বছর আগে সিরিজে হেরেছিল বাংলাদেশ। হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল তারও আগে। দেশের মাটিতে সবশেষ ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের সবকটি ওয়ানডে হেরেছিল বাংলাদেশ। এরপর এবারেরটাসহ ১৬ সিরিজের তিনটিতে হারলেও কোনোবার হোয়াইটওয়াশড হয়নি লাল-সবুজের দল। এবার সেই শঙ্কাই উঁকি দিচ্ছে। কাল ইংল্যান্ডের কাছে হারলে ৯ বছর পর এই লজ্জায় ডুবতে হবে বাংলাদেশকে।

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ছবি : বিসিবি

মূল লড়াইয়ে নামার আগে স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ দিলেন ইতিবাচক বার্তা। তিনি বলেছেন, ‘সবশেষ সিরিজের উইকেটটা থেকে এই উইকেটটা ভিন্নতর হবে বলে মনে হচ্ছে। আমরা আমাদের দলের সেরা পারফর্ম্যান্সটা পেতে পরিশ্রম করছি।আমাদের শক্তিশালী হয়ে ফিরতে হবে। আমরা এই চ্যালেঞ্জটা নিতে, শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো করার জন্য মুখিয়ে আছি।’

ইংল্যান্ড তারকা মার্ক উডের মুখে তৃপ্তির সুর। সেটা স্বাভাবিক। কারণ সিরিজের প্রথম দুই সিরিজে বেশ হেসেখেলেই জিতেছে ইংলিশরা। তাইতো সেই তৃপ্তি নিয়ে মার্ক উড বলেন, ‘আসলে আমাদের সব ধরনের উইকেটের জন্যই প্রস্তুত হতে হবে। টার্নিং উইকেটেও আমরা মানিয়ে নিতে পারি, শেষ দুটি জয় সেদিক থেকে খুবই তৃপ্তির।’

হোম কন্ডিশনে বাংলাদেশ যে টুকু সুবিধা নিতে পারে সেটা কেবল শেরেবাংলাতেই। কারণ শেরেবাংলার উইকেট স্পিন নির্ভর। সেই তুলনায় ব্যাটিং স্বর্গ হলো চট্টগ্রাম। তাতে নিশ্চিতভাবে বলা যায়, সাগরিকার উইকেটে বেশ কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে বাংলাদেশকে। হয় ব্যাটারদের জ্বলে উঠতে হবে নয়তো ডুবতে হবে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায়!

বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ : তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাজমুল হাসান শান্ত, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, শামীম হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমান।

ইংল্যান্ডের সম্ভাব্য একাদশ : জেসন রয়, ফিল সল্ট, দাভিদ মালান, জেমস ভিন্স, জস বাটলার (অধিনায়ক), উইল জ্যাকস, মইন আলি, ক্রিস ওকস, আদিল রশিদ, জফরা আর্চার, মার্ক উড।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech