একটা সময় নিয়মিত সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হতেন নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রতিনিয়ত শুনতেন সমালোচনা। সেই শান্তকেই এখন দেখা যাচ্ছে নতুন রূপে। সাম্প্রতিক সময়ে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে নিয়মিত হাসছে শান্তর ব্যাট, তাতে ভর করে হাসছে বাংলাদেশও। তবে এই ছন্দের পেছনেও আছে রহস্য। ইংল্যান্ডকে হারানোর পর সেই রহস্যের কথাই জানালেন বাঁহাতি এ ওপেনার।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৬ উইকেটের বিশাল জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ের পেছনে মূল নায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যাট হাতে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ বলে ৫১ রানের চমৎকার ইনিংস উপহার দিয়েছেন তরুণ এই ওপেনার। হয়েছেন ম্যাচ সেরাও।
শুধু এই ম্যাচ কেন, গেল ম্যাচেও হেসেছিল তাঁর ব্যাট। ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই ৬ মার্চ ওয়ানডেতে শান্ত খেলেছিলেন ৫৩ রানের ইনিংস। সেই ম্যাচেও জিতেছিল বাংলাদেশ। সবমিলিয়ে শেষ সাত ম্যাচে ব্যাট হাতে একবার শুধু শূন্যতে ফিরেছেন তিনি। ইনিংসগুলো যথাক্রমে ৩৮, ৪০, ৬৪, ৫৮, ০, ৫৩, ৫১।
এমন ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের পেছনে বিপিএলের আত্মবিশ্বাসকে দায়ী করছেন শান্ত। তিনি বলেছেন, ‘আসলে আমরা যেভাবে বিপিএলে ব্যাটিং করেছি। ওইটাই আমরা আজকে প্রয়োগ করার চেষ্টা করেছি। কোনো ব্যতিক্রমী কোনো কিছু করার চিন্তা আমাদের ছিল না। আমি চেষ্টা করেছি ভালো একটা শুরুর। যেটা পাওয়ার পর চেষ্টা করেছি, মোমেন্টাম ধরে রাখার। বাড়তি কোনো কিছুর করার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। শুধু পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিং করার চেষ্টা করেছি।’
বাংলাদেশের জার্সিতে আজ টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয় তৌহিদের। প্রথম ম্যাচে বেশ নির্ভার মনে হয়েছে তাঁকে। তৌহিদ হৃদয়ের প্রসঙ্গে শান্ত বলেন, ‘প্রথম ম্যাচ হিসেবে যে ধরনের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ ছিল হৃদয়ের, সেটা দেখেই আমি আত্মবিশ্বাস পাই। এই রকম বড় দলের বিপক্ষে হৃদয়কে নার্ভাস মনে হয়নি।’
শান্ত মনে করেন, ইংল্যান্ডের মতো বড় দলের সঙ্গে জিতলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। তাঁর ভাষায়, ‘বিশ্বের সেরা দল তারা (ইংল্যান্ড)। তাদের সঙ্গে খেলা আমাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং। আর বড় দলের বিপক্ষে জয় সবাইকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলে। এভাবে জয় পেলে টি-টোয়েন্টিতেও আমরা ব্যালেন্স একটা দল হয়ে উঠবো।’