চলতি মাসের শেষেই মাঠে গড়াচ্ছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৬তম আসর। আসর শুরুর আগে আলোচনায় আইপিএলে দল পাওয়া তিন বাংলাদেশি ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, লিটন দাস ও মুস্তাফিজুর রহমান। মূলত এনওসি জটিলতায় আসন্ন আইপিএলের শুরু থেকে অংশ নিতে পারছেন না বাংলাদেশের এই তিন ক্রিকেটার।
এর আগেও এমন জটিলতায় পড়তে হয়েছে বাংলাদেশিদের। প্রতি বছর এমন এনওসি নাটকের কারণেই নাকি আইপিএলের আগামী আসরগুলোতে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারেন বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা। এমন তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো।
আজ শনিবার (২৫ মার্চ) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইনসাইড স্পোর্টসের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী এনওসি (অনাপত্তিপত্র) ইস্যুতে ভবিষ্যতে ছায়া নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা। প্রতিবেদনে বলা হয়, নিলাম অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে খেলোয়াড়রা কতটুকু সময়ের জন্য খেলতে পারবে, সে বিষয়ে তথ্য দেয় ক্রিকেট বোর্ডগুলো।
তবে সেদিক দিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) যথেষ্ট পেশাদারিত্বের পরিচয় দেয়নি বলেও জানানো হয় ওই প্রতিবেদনে। ইনসাইড স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাতৎকারে এক ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক বলেন, ‘আইপিএল শুরুর আগে যেহেতু বোর্ডগুলোর সাথে আলোচনা করে বিসিসিআই। তারপরও কিছু দেশের খেলোয়াড়দের নেওয়ার সময় আমরা আরও বেশি সচেতন হবো। আপনি যদি দেখেন গতবছর তাসকিন এনওসি (অনাপত্তিপত্র) পায়নি। আর এবার তারা (লিটন-সাকিব)। সবমিলিয়ে তারা (বিসিবি) যদি না চায় যে তাদের খেলোয়াড়রা খেলুক, তাহলে তাদের নিলামের জন্য নিবন্ধন করা উচিত নয়। তবে আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের সম্পর্কে আমাদের ধারণা পাল্টে যাবে।’
বিসিসিআইয়ের একজন কর্মকর্তা এই বিষয়ে বলেন, ‘দেখুন অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়রাও একই ধরনের সমস্যায় পড়ে। তবে এটা তারা নিজ উদ্যোগে সমাধান করে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তাই হওয়া উচিত। যদি তারা না করতে পারে, তাহলে তাদের নিয়ে আমাদের অন্যকিছু চিন্তা করতে হবে।’
এর আগে সাকিব-লিটনদের আইপিএলে খেলা ইস্যুতে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছিলেন, ‘সাকিব-লিটনদের আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে না থাকার তো আমি কোনো অপশনই দেখি না। আমার কথা হচ্ছে এটা যদি এমন হতো তাদেরকে বলেছি আমরা ভেবে চিন্তে দেখতেও পারি। এই ধরণের কোনো অপশন দিয়েছি খেলোয়াড়দের বা আইপিএলকে তাহলে একটা সন্দেহ থাকত, আমরা তো সরাসরি বলেই দিয়েছি। কাজেই আমরা এখন পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্তেই আছি, সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আমি দেখি না সত্যি কথা বলতে।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুযায়ী শুধু বাংলাদেশ নয় এই তালিকায় আছেন বেশ কিছু লঙ্কান ক্রিকেটারও। যদিও এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি আইপিএল কর্তৃপক্ষ।
৩১ মার্চ শুরু হচ্ছে আইপিএলের নতুন আসর। তাতে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলার কথা সাকিব ও লিটনের। তবে ৪ এপ্রিল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুরে একমাত্র টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। পাঁচ দিন পর্যন্ত খেলা হলে টেস্টটি শেষ হবে ৮ এপ্রিল। অর্থাৎ, শুরুর এক সপ্তাহে আইপিএলে থাকতে পারছেন না বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। তবে শুরু থেকেই দিল্লির হয়ে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।