বদলে যাওয়া তাসকিন আহমেদ প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটারদের কাছে মূর্তিমান এক আতঙ্কের নাম। তাসকিনের নৈপুণ্যে একের পর এক ম্যাচ জিতছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বল হাতে তাসকিন ছিলেন অনবদ্য। তার বোলিং দাপটেই আইরিশদের হারের লজ্জা দেয় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
আজ সোমবার (২৭ মার্চ) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১০৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দুই ওভারেই স্কোরবোর্ডে ৩২ রান তুলে ফেলে আয়ারল্যান্ড । তখনই আক্রমণে এসে শুধু ম্যাচের মোড় ঘুড়িয়ে দেননি তাসকিন, ১৬ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট, যা টি-টোয়েন্টিতে তার ক্যারিয়াসেরা বোলিং।
অথচ, চোট ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনে জাতীয় দল থেকে একটা সময় ছিটকে গিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। পথ হারানো এই পেসার জীবনের কঠিন বাস্তবতা উপলব্দি করতে খুব বেশি সময় নেননি। তিনি জানতেন, নিজের রাস্তায় ফিরে আসতে পরিশ্রমের বিকল্প নেই। করোনাকালীন সময়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ফিটনেস নিয়ে অনেক পরিশ্রম করেছেন, যেন পণ-করেছিলেন নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করার!
কঠোর পরিশ্রম করে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন এই পেসার। তার পুরস্কারও পাচ্ছেন। বিসিবির তিন ফরম্যাটের চুক্তিতেই তাকে রাখা হয়েছে। ভালো পারফরম্যান্সের কারণে সম্প্রতি আইপিএল খেলার প্রস্তাবও পান এই পেসার।
তাসকিনের ক্রিকেট-মস্তিষ্ক কতটা সমৃদ্ধ হয়েছে, সাম্প্রতিক সিরিজগুলোতেই সেটা বোঝা গেছে। ম্যাচ পরিস্থিতি বুঝে বল করতে পারার ক্ষমতা তার মধ্যে বেশ ভালো করেই তৈরি হয়েছে। গত বিশ্বকাপ ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে চোখে আঙুল দিয়ে তিনি দেখিয়েছেন, এই তাসকিন কতটা ধারাল!