আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মোট জনসংখ্যা তিন কোটি ১০ লাখ। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যার তথ্যই হাতিয়ে নিয়েছে হ্যাকাররা। একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের তথ্য চুরির মাধ্যমে হ্যাকাররা এমনটি করেছে বলে জানা গেছে।
আজ সোমবার (২৭ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে ভারতীয় গণমাধ্যমটি জানায়, অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান ল্যাটিটিউড ফিনান্সিয়ালের এক কোটি ৪০ লাখ গ্রাহকের তথ্য চুরি করেছে হ্যাকাররা। আর্থিক প্রতিষ্ঠানটিতে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ছিল বলে জানা গেছে।
ল্যাটিটিউড ফিনান্সিয়ালের হ্যাকিংয়ের বিষয়টি সমানে আসে চলতি মাসের শুরুর দিকে। তবে, ওই সময় যতজন গ্রাহকের তথ্য চুরির কথা চাউর হয়েছিল, বর্তমান সময়ে তা অনেক বেশি। এর ফলে, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের প্রায় অর্ধেক মানুষের তথ্যই চলে গেছে হ্যাকারদের কবলে।
এক বিবৃতিতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি বলে, আজকের ঘোষণাটি আমাদের গ্রাহকদের জন্য একটি দুঃখজনক ঘটনা হবে তা আমরা স্বীকার করছি। গ্রাহকদের তথ্য সঠিকভাবে সুরক্ষিত করতে না পারায় আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’
ল্যাটিটিউড ফিনান্সিয়ালের তথ্যানুসারে, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের ৭৯ লাখ নাগরিকের ড্রাইভিং লাইসেন্সের তথ্য চুরি করা হয়েছে। দুদেশের ৫৩ হাজার পাসপোর্টের তথ্য চুরি করা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরির ঘটনা নতুন নয়। ২০০৫ সালে দেশ দুটির ৬১ লাখ নাগরিকের তথ্য চুরি করে নেয় হ্যাকাররা। অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক বহুজাতিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানটির বিশ্বাস, তাদের তিন লাখ ৩০ হাজার গ্রাহকের তথ্য চুরি হয়েছে।
ল্যাটিটিউড ফিনান্সিয়ালের প্রধান নির্বাহী আহমেদ ফাওয়া বলেন, ‘গ্রাহকদের তথ্য চুরির বিষয়টি অত্যন্ত হতাশাজনক। গ্রাহকদের কাছে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’
তথ্য চুরির ঘটনায় অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানিয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি। একইসঙ্গে সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি কোম্পানিটির কর্মীরা কাজ করছে বলে জানা গেছে।