আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
সৌরজগতে পৃথিবীর কাছে সূর্যের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নেই। আলো, তাপ, আবহাওয়াসহ প্রায় সব ধরনের শক্তির যোগান দিয়ে পৃথিবীকে প্রাণিকূলের বাসযোগ্য করে রেখেছে এই নক্ষত্রটি। তবে, এই নক্ষত্রের মধ্যেই বিশাল গর্তের অস্তিত্ব পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। এই গর্ত ২০টি পৃথিবীর থেকেও বড়। নিউইয়র্কভিত্তিক গণমাধ্যম ভাইস নিউজের বরাতে আজ বুধবার (২৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে ভারতীয় গণমাধ্যমটি বলছে, সূর্যের এই গর্তকে ‘করোনাল হোল’ বলে আখ্যায়িত করছে নাসা। তাদের মতে, সূর্যের একটি অংশ খুব দ্রুত হারিয়ে যাবে। এর জেরে সৌর বায়ু ঝড় পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসবে বলে সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল এজেন্সি এনওএএ।
অস্ট্রেলিয় গণমাধ্যম নিউজ.কম.এইউ বলছে, সূর্যের গর্তের জন্য ২৯ লাখ বেগে ধেয়ে আসতে পারে সৌর বায়ু। আজকের মধ্যেই এই ঝড় পৃথিবীতে আঘাত হানবে। এই ঝড়ের আঘাতে পৃথিবী কীরকম প্রভাব ফেলবে তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এর ফলে, পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র, স্যাটেলাইট ও জিপিএসে প্রভাব পড়বে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
গত ২৩ মার্চ সূর্যের উত্তরাংশের গর্তটি প্রথমবার আবিষ্কার করে নাসার সোলার ডাইমানিক ওবসেরভেটরি (এসডিও)। এসব গর্ত সৌর বায়ু উচ্চগতিতে মহাকাশে নিঃসরণ করা অনেক সহজ করে তোলে।
নাসার গডার্ড হেলিও ফিজিক্স সায়েন্স ডিভিশনের বিজ্ঞানী অ্যালেক্স ইয়াং বলেন, ‘সূর্যের বর্তমান গর্তটি তিন থেকে চার লাখ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। ২০ থেকে ৩০টি পৃথিবীর সমান এটি।’