আন্তুর্জাতিক ডেস্ক :
ব্রাজিলে স্কুলে সহিংসতা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে৷ এর পেছনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যথেচ্ছ ব্যবহারের ভূমিকা খুব স্পষ্ট৷ তাই মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রাম ব্যবহার সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির আদালত৷
২০২২ সালের নভেম্বরে স্বস্তিকা চিহ্নধারী এক ব্যক্তি পরপর দুটি স্কুলে হামলা চালিয়ে চারজনকে হত্যা করে৷ এসপিরিতো সান্তো রাজ্যের ছোট্ট শহর আরাক্রুজের সেই ঘটনার পর নব্য নাৎসিদের তৎপরতার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করে পুলিশ৷ তেমনই একটি গ্রুপকে সক্রিয় দেখা যাওয়ায় মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছিল৷ সে বিষয়ে যথেষ্ট সহযোগিতা না করার অভিযোগেই টেলিগ্রাম ব্যবহার সাময়িকভাবে স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে এসপিরিতো সান্তোর আদালত৷
গতকাল বুধবার (২৬ এপ্রিল) এক নির্দেশনায় রাজ্যের কেন্দ্রীয় আদালতের বিচারক বলেন, ‘পুলিশ কর্তৃপক্ষ যেসব তথ্য উপস্থাপন করেছে, তাতে টেলিগ্রাম যে তদন্তে সহযোগিতা করছে না তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে৷’
এ কারণে টেলিগ্রাম ব্যবহার সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার পাশাপাশি পুলিশকে তদন্ত শেষ করার তাগিদও দিয়েছে আদালত৷ চলতি মাসের শুরুর দিকে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু মানুষের তৎপরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন৷
মন্ত্রিপরিষদ এবং সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের সঙ্গে এক বৈঠকে লুলা জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নের কথা তার সরকারের বিবেচনায় রয়েছে৷
গত ১৮ এপ্রিল এক বৈঠকে ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আলেক্সান্দ্রে দে মোরায়েস বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটা অনেক ক্ষেত্রে নো ম্যানস ল্যান্ডের মতো। সেখানে বেআইনি কাজ করে, বেআইনি কথা-বার্তা বলেও যেন পার পাওয়া যায়৷ সামাজিক যোগাযোগ সংক্রান্ত প্রবিধান প্রণয়ন করা এখন সময়ের দাবি৷’
ব্রাজিলের স্কুলে সহিংসতা বৃদ্ধির বিষয়ে একটি গবেষণা করেছেন সাও পাওলো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডানিয়েল কারা৷ সেই গবেষণাপত্রে বলা হয়, ২০০২ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ব্রাজিলের বিভিন্ন স্কুলে কমপক্ষে ১৬টি হামলা বা সহিংসতা সংঘটিত হয়েছে৷ এর মধ্যে চারটি ঘটেছে ২০২২ সালের শেষ ছয় মাসে৷