ঢাকা: প্রেমের ক্ষেত্রে দেখতে-শুনতে একটু ভালো হলেই হলো। এক্ষেত্রে কোন জেলার তা বাচবিছারের প্রশ্নই আসে না। কিন্তু বিয়ে করতে গেলেই সমস্যা। কোন জেলার তা জানাটা এক্ষেত্রে অবশ্যই প্রধান ফ্যাক্টর। আবার বাসায় বউ আনবেন, সে সব কাজে ভালো হবে না তা কখনও হয়। বউ সবসময় সেরাটাই চাই সবার। এজন্য দেশের পুরুষদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের লোকজনও অনেক খোঁজাখুঁজি করেন, যাতে ভালো পাত্রীর সন্ধান মেলে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেউ ভালো বউ পায়, আর কেউ পায় না। প্রতিটি জেলার মানুষের সম্পর্কে আমাদের মধ্যে প্রচলিত একটা ধারণা রয়েছে। তেমনি একেক জেলার মেয়েদের সম্পর্কেও রয়েছে বেশ কিছু মজাদার তথ্য।
এবার জেনে নিন কোন জেলার মেয়েরা কেমন বৈশিষ্ট্যের হয়ে থাকে-
পুরান ঢাকা : পুরান ঢাকার মেয়েরা খুবই দিলখোশ। ঢাকার অন্য এলাকার মেয়েরা জগাখিচুরি।
দিনাজপুর : দিনাজপুরের মেয়েরা খুব সুন্দরী হয়।
বগুড়া : বগুরার মেয়েরা ঝাল।
টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের মেয়েরা খুব ভাল হয়। বান্ধুবী হিসেবেতো বটেই, আবার পাত্রী হিসেবেও।
নরসিংদী : নরসিংদীর মেয়েরা উড়াল পঙ্খীর মতো তাদের মন আর চলার ঢং।
কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জের মেয়েরা একটু বোকাসোকা আর ডেয়ারিং প্রকৃতির। মিশুক, বন্ধুপাগল বা বন্ধুপ্রেমী হয়। আবার স্বামী ভক্তও হয়।
চট্টগ্রাম : চট্রগ্রামের মেয়েরা কিছুটা কনজারভেটিভ। তারা বাইরের জেলার ছেলেদের ব্যাপারে তেমন আগ্রহী নয়।
সিলেট : সিলেটী মেয়েরা পর্দানশীল বেশি। তারা সাধারণত বাইরের জেলাতে বিয়ে করতে যায় না। আত্মীয়দের মধ্যে থাকতে পছন্দ করে। এছাড়া এ জেলার মেয়েরা ছ্যাচড়া।
উত্তরবঙ্গ : উত্তরবঙ্গের মেয়েরা কোমলমতী হয় এবং বেকুব ও আনক্রিয়েটিভ ।
খুলনা : খুলনার মেয়েরা স্বামী অন্ত:প্রাণ। এরা ফ্যামিলির ব্যাপারে একটু বেশি সিরিয়াস টাইপের হয়।
কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ার মেয়েরা অহংকারী, কিন্তু সেই তুলনায় গুণবতী নয়। মননশীল, রুচিসম্পন্ন। যাকে ভালোবাসে তো সত্যিকারের ভালোবাসে, কোন রাখঢাক নাই।
যশোর :যশোরের মেয়েরা অনেক সুন্দরী। এরা কুটনামিতে খুব ওস্তাদ হয়, প্রচুর মিথ্যা কথা বলে। আর শ্বশুরবাড়ীর লোকজন সহ্যই করতে পারেনা। পরকিয়াতেও ওস্তাদ এ জেলার মেয়েরা।
বরিশাল : বরিশালের মেয়েরা একটু ঝগড়াটে, ভালো রাঁধুনী, ন্যাচালার সুন্দরী , সংসারী এবং স্বামীভক্ত।
ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের মেয়েরা একটু বোকাসোকা, কেউবা বদমাইশ। কেউ কেউ স্মার্ট এবং ডেয়ারিং।
সিরাজগঞ্জ: এ জেলার মেয়েরা ভালো, যদি শান্তিতে ঘর করতে চান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেয়েরা পলটিবাজ কিন্তু পতিভক্ত ও সংসারী।
রাজশাহী : রাজশাহীর মেয়েরা একটু লুজ।
পাবনা : পাবনার মেয়েরা কুটনা হয়ে থাকে।
জামালপুর : জামালপুরের মেয়েরা বেশি স্মার্ট এবং ডেয়ারিং। এই জেলায় সুন্দরীদের ঘনত্ব বেশি।
নোয়াখালী : বাবা-মা অথবা আত্মীয়-স্বজনদেরকে ভুলতে চাইলে এ জেলার মেয়েদের তুলনা নেই। বেশিরভাগ মেয়ে কারও কথার নিচে থাকতে চায়না। এরা চরম কুটনা হয়। তবে তারা শশুড়বাড়ির জন্য করতে চাইলে নিজের সব দিয়ে করে, না করলে নাই!
ফরিদপুর : ফরিদপুরের মেয়েরা চোরা স্বভাবের।ওদের মত কুটিল প্যাচের মানুষ খুব কমই হয়।
কুমিল্লা : কুমিল্লার মেয়েরা শ্বশুরবাড়ির মানুষদের পছন্দ করেনা। এ জেলার মেয়েরা সুন্দরী, অনেক দায়িত্বশীল, তবে সংসারে প্রভাব বিস্তার করতে বেশি পছন্দ করে।
মাদারীপুর : মাদারীপুরের মেয়েরা খুবই কিউট, খুব খরচে, জামাইয়ের পকেট ফাকা করতে উস্তাদ।
চাঁদপুর : চাঁদপুরের মেয়েরা মানুষ হিসেবে খুবই ভালো, অতিথিপরায়ণ। তাদের সরল ভালবাসায় আপনি মুগ্ধ হবেন। এ জেলার মেয়েরা ছেলে ঘুরাতে ওস্তাদ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাপাইনবাবগঞ্জের মেয়েরা সরল মনের অধিকারী।
গাজীপুর : গাজীপুরের মেয়েরা খুবই ভাল, মিশুক এবং রসিক। এরা জেদি, লাজুক ,মিডিয়াম সুন্দর, মিডিয়াম স্মার্ট এবং সংস্কৃতিমনা।
নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের মেয়েরা অতিশয় ভালো, ভদ্র, সামাজিক, কীভাবে পরিবার আর মুরুব্বিদের সামলাতে হয় তারা খুব ভালো জানে। সংসারে ঝামেলাহীন, সবসময় হাসি-খুশি, মিলেমিশে থাকে এমন বউ আনতে চাইলে নারায়ণগঞ্জের মেয়েরাই সেরা।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।