মেয়েদের মন বোঝা নাকি পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজের একটি। তারা কখন কী চায়, কীসে খুশি হয় আর কীসে রাগ সেসব নাকি ছেলেদের পক্ষে বোঝা সম্ভব হয়ে ওঠে না! প্রিয়তমার মেজাজ বুঝে চলতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় বেশিরভাগ পুরুষকেই।
মেয়েদের মন বোঝা এমন কঠিন কিছুও নয়। মূলত সঙ্গীর কয়েকটি স্বভাব বা অভ্যাস তারা মেনে নিতে পারেন না। সেই অভ্যাসগুলো থেকে দূরে থাকলেই তাদের মেজাজও থাকবে ঠান্ডা। চলুন জেনে নেয়া যাক-
একটু খেয়াল করলেই দেখতে পাবেন, বাড়ির বেশির ভাগ কাজ কিন্তু মেয়েরাই করেন। তাই সঙ্গিনীর কাজকে গুরুত্ব দিন। সাংসারিক বিষয়গেলোতে কথা উঠলে, সেগুলো মন দিয়ে শুনুন, সম্ভব হলে প্রশংসাও করুন। এই বিষয়গুলোতে তাকে গুরুত্ব না দিলে সে দ্রুতই মেজাজ হারাবে।
সঙ্গীর কাছ থেকে কোনোরকম মিথ্যা একেবারেই কাম্য নয়। আর সেটা মেয়েদের সঙ্গে ঘটলে তো কথাই নেই। কারণ মেয়েরা তার সঙ্গীর কাছ থেকে মিথ্যা কথা একদমই সহ্য করতে পারেন না। যত সমস্যাই হোক, তাদের সত্যিটাই বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করুন। কারণ, আপনার মিথ্যা ধরা পড়ে গেলেই শুরু হতে পারে দীর্ঘমেয়াদী অশান্তির।
মেয়েরা তার পরিবার বা প্রিয় বন্ধুদের সম্পর্কে কোনোরকম সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না। তাই সঙ্গিনীর সামনে তার আপনজনদের সম্পর্কে সমালোচনা না করাই ভালো।
মেয়েরা সবসময় একটু বেশিই অভিমানী। তাই ছোট ছোট বিষয় হলেও, কথা দিয়ে কথা রাখার চেষ্টা করুন।
কখনই নিজের সঙ্গিনীকে অন্য কারও সঙ্গে কখনওই তুলনা করবেন না। এতে তারা মনে কষ্ট পেতে পারেন। বরং তাকে তার মতো ভেবেই ভালোবাসুন।
সঙ্গিনী অভিমান করলে অবশ্যই তার অভিমান দূর করার চেষ্টা করুন। মেয়েরাও সেটাই আশা করেন তার সঙ্গীই অভিমান ভাঙানোর চেষ্টা করবেন।
মেয়েদের বেশি অপেক্ষা করাবেন না। কোথাও ঘুরতে যাওয়া বা ডেটের ক্ষেত্রে সব সময় সময়মতো পৌঁছানোর চেষ্টা করুন। আর নয়তো অপেক্ষা করতে হলেই মেয়েদের মেজাজ বিগড়ে যেতে পারে।
আপনার সঙ্গিনীর উপস্থিতিতে কখনও সেখানে উপস্থিত কোনো তৃতীয় ব্যক্তিকে বেশি গুরুত্ব দেবেন না। কোনো পুরনো বন্ধু বা পরিচিত কেউ সামনে থাকলেও সমানভাবে সঙ্গিনীকে সময় দিন।