মো: মহসীন মাতুব্বর, আমতলী প্রতিনিধি:
আমতলীতে সরকারী ধান ক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন খাদ্য গুদামে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে ক্রয়কৃত ১শ’৯৫ বস্তা ধান জব্দ করেন। এ অনিয়ের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে উপ-খাদ্য পরিদর্শক অঞ্জন কুমার ডাকুয়াকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১০ দিনের বিনা শ্রম কারাদন্ড ও ধান সরবরাহকারী ফেরদৌসকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
জানা গেছে, আমতলী উপজেলায় কৃষকের নিকট থেকে সরকারীভাবে এবছর ১ হাজার ৪০ টাকা মন দরে ২ হাজার ৯১ টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। খাদ্য বিভাগের লোকজন ওই ধান কৃষকের নিকট থেকে না কিনে এক শ্রেণির দালালের মাধ্যমে নি¤œ মানের ধান ক্রয় করছেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় এ খবর পেয়ে টিএন্ডটি সড়কে অবস্থিত খাদ্য গুদামে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় তিনি অবৈধ ভাবে ধান সরবরাহকারী ফেরদৌস এর নিকট থেকে ১শ’ ৯৫ বস্তা ধান ক্রয়ের সত্যতা পান। ফেরদৌস আমতলীর উত্তর টিয়াখালী গ্রামের ৫ জন কৃষকের কার্ড সংগ্রহ করে ওই কার্ডের অনুকুলে খাদ্য গুদামে ধান সরবরাহের জন্য গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি উপজেলার মেসার্স দীপ্ত এন্টার প্রাইজের মালিক সুনিল সমদ্দার এর আড়ৎ থেকে ধান ক্রয় করে ট্রাক যোগে আমতলী এনে খাদ্য গুদামে সরবরাহ করে। এসময়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা পারভীন সরবরাহকৃত ১শ’ ৯৫ বস্তা ধান জব্দ করেন। এঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে খাদ্য বিভাগের উপ-খাদ্য কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার ডাকুয়াকে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ধান সরবরাহকারী ফেরদৌসকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বে নিয়োজিত) মো. শফিকুল ইসলাম এবং খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিসএলএসডি) রবীন্দ্র নাথ মন্ডলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ করেন।
এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা ওসিএলএসডি রবীন্দ্র নাথ মন্ডলকে বার বার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। (০১৭৩৪৬৭৮০৬৪)
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাশার জানান, জব্দ করা ধান পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা পারভীন জানান, কৃষকের নিকট থেকে ধান না কিনে খাদ্য বিভাগের লোকজন দালালের মাধ্যমে নি¤œ মানের ধান ক্রয় করে খাদ্য গুমামে মজুদ করার খবর পেয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এবং ঘটনার সত্যতা পেয়ে উপ-খাদ্য কর্মকর্তা অঞ্জনকে ১০ দিনে কারাদন্ড ও ধান সরবরাহকারী ফেরদৌসকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করি। তিনি আরো বলেন, জব্দকৃত ধান পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।এ ধান পরবর্তীতে নিলামে বিক্রি করা হবে।