নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশী জলসীমা অতিক্রমের পর ১২ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন ৬ বাংলাদেশী জেলে। তারা ভারতীয় কারাগারে রয়েছেন বলে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি মোবাইল ফোনে জানালেও সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য পাচ্ছেন না নিখোঁজের স্বজনরা। এ ঘটনায় তাদের পরিবারে আতঙ্ক বিরাজ করেছে।
পুলিশ, ট্রলার মালিক ও নিখোঁজের স্বজনরা জানায়, গত ২৫ ডিসেম্বর বুধবার বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র (বিএফডিসি) থেকে উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের চরদুয়ানী গ্রামের মৃত আমির হোসেন জোমাদ্দারের ছেলে মো: বেল্লাল মাঝি, দক্ষিণ জ্ঞানপাড়া গ্রামের সুলতান চৌকিদারের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন, তালুক চরদুয়ানী গ্রামের আবদুর রব জোমাদ্দারের ছেলে মো: এমাদুল হক, মৃত হাফেজ জোমাদ্দারের ছেলে মো: শাহিন, আতাহার আলীর ছেলে আবদুল হক ও পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী এলাকার বাহাদুর চাপরাশির ছেলে মো: ইমরান চাপরাশি মাছ শিকার করার জন্য বঙ্গোপসাগরের গভীর সমুদ্রে যায়। ৫ জানুয়ারী রোববার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ‘এফবি মারিয়া’ নামের তাদের ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। বিকল ট্রলারটি এক সময় বাংলাদেশের জলসীমা অতিক্রম করে নিখোঁজ হয়ে যায়।
ট্রলার মালিক তৌহিদুল ইসলাম জানান, জেলেরা ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করলে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে সেখানে টহলরত বন বিভাগের সদস্যরা তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে কলকাতার বাড়াইপুর কারগারে পাঠায় বলে ১০ জানুয়ারী ভারতীয় এক ব্যক্তি মোবাইল ফোনে জানান। পরে তিনি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানে আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। পুলিশসহ আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে আমরা বিষয়টি অবহিত করেছি।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানা ওসি শাহাবুদ্দিন বলেন, নিখোঁজ জেলেরা ভারতীয় কারাগারে রয়েছে বলে একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন ট্রলার মালিক। থানায় এরকম কোন তদন্ত আসে তবে সব ধরণেল সহযোগিতা করা হবে।