বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন নিহতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণকারী বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী এবং বরগুনা সদর থানার ওসি আবীর মোহাম্মাদ হোসেন ও সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম। তাঁদের মধ্যে বিচারক সিরাজুল ও ওসি আবীরের সাক্ষ্য শেষ না হওয়ায় আজ সোমবারও তাঁদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো আছাদুজ্জামান এসব সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাঁদের জেরা করেন। এর মধ্যে সাক্ষ্যপ্রদানকারী বিচারক সিরাজুল ইসলাম গাজীকে জেরার সময় মিন্নির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণের আইনগত বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ঢাকা থেকে আসা মিন্নির আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ।
গতকাল সাক্ষ্যগ্রহণ উপলক্ষে কারাগারে থাকা এই মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আট আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ ছাড়া আদালতে হাজির হন জামিনে থাকা নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি।
আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ পরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘মিন্নির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি যে বিচারক গ্রহণ করেছিলেন, সেই বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীকে আমি জেরা করেছি। মিন্নির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণের সময় বিচারক যে ভুলগুলো করেছেন, আমি সেগুলো আদালতে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি এবং এতে আমি সফল হয়েছি।’