গোটা বিশ্বে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এখন পর্যন্ত এটিতে আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে ছয় লাখের বেশি মানুষ, মৃত্যু হয়েছে ৩১ হাজারের অধিক। এদিকে ভাইরাসটি শনাক্তের তিন মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো আবিষ্কার হয়নি কোনো প্রতিষেধক বা টিকা। এ নিয়ে আতঙ্কিত গোটা বিশ্ব। ফলে কীভাবে এ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে তা নিয়ে চলছে নানা গবেষণা। এমনই এক গবেষণা জানালো- করোনার প্রাদুর্ভাব কমতে পারে বর্ষায়।
ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনলজি (এমআইটি) সম্প্রতি এই গবেষণাটি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির গবেষকরা মনে করছেন, উষ্ণ আবহাওয়া ও বৃষ্টি তথা আদ্রতার কারণে এশিয়ার দেশগুলোতে কমতে পারে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব।
গবেষণায় অংশ নেয়া এক দল গবেষক বলছেন, করোনাভাইরাস যে গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে, সেই গতি কেবল থামাতে পারে উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়া। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সব তথ্য, তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতার বিষয়টি বিশ্লেষণ করে ওই তথ্য প্রকাশ করেছেন গবেষকরা।
তারা বলছেন, এশিয়ার যেসব দেশে এই মুহূর্তে বৃষ্টি হচ্ছে অথবা সম্ভাবনা রয়েছে, সেই সব দেশে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা তুলনামূলকভাবে কম।
সোশ্যল সাইন্স রিসার্চ নেটওয়ার্কে (এসএসআরএন) প্রকাশ হওয়া ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, ২২ মার্চ পর্যন্ত যেসব অঞ্চলে তাপমাত্রা ৩ থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল সেখানে ৯০ শতাংশ SARS-CoV-2 ট্রান্সমিশন হয়েছে। সেইসঙ্গে এও বলা হয়েছে, ওই সব জায়গায় অ্যাবসোলিউট হিউমিডিটি ছিল ৪-৯ গ্রাম প্রতি কিউবিক মিটার।
এমআইটির গবেষকদের দাবি, যেসব দেশে জানুয়ারি থেকে মার্চের শুরু পর্যন্ত গড় তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি ছিল এবং অ্যাবসোলিউট হিউমিডিটি ৯ গ্রাম প্রতি কিউবিক মিটারের বেশি ছিল, সেই সব দেশে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে ৬ শতাংশেরও কম। এই সবের ভিত্তিতেই তারা অনুমান করছেন যে, যেহেতু সব এশীয় দেশে বর্ষা এসে গেছে সেহেতু ট্রান্সমিশন রেট কমে যাবে।