বাউফল:
দক্ষিণাঞ্চলে উৎপাদিত তরমুজ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যায় রাজধানীতে। এমনকি পাশের দেশ ভারত’সহ বিভিন্ন দেশে যায় এ তরমুুজ।
গত মৌসুমে অনেক চাষী লাভের মুখ দেখেনি। এবারও ক্ষতিকর কারন হয়ে দাড়িয়েছে করোনা। মরণঘাতি করোনার থাবায় বিশ্ব অচল। এর প্রার্দূভাব প্রতিরোধে সারাদেশের মত পটুয়াখালী জেলাও লকডাউন।
চাষীরা মনে করেন, তরমুজের বড় বাজার ঢাকা। করোনার কারনে পুরো রাজধানী ফাঁকা অপরদিকে পরিবহণ ব্যবস্থাও বন্ধ। একদিকে চাহিদা কম আরেক দিকে পরিবহণ সংকট। অনেকে বলেন, এবার ফলনও কম। বৃষ্টির কারনে ঝড়ে গেছে ফুল/ কড়া। সব মিলিয়ে মাথায় হাত তরমুজ চাষীর।
তথ্য মতে, এবছর উপজেলার কালাইয়া, চন্দ্রদ্বীপ, কেশাবপুর ও ধুলিয়া ইউনিয়নে চরাঞ্চলে ৭৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ হয়েছে।
কালাইয়ার চর শৌলায় সরেজমিনে দেখা যায়- ব্যস্ত সময় পার করছে শ্রমিকেরা। শেষ সময় চলছে সার পানি কীটনাশক প্রয়োগ। কোথাও কোথাও ফল কাটা শুরু হয়েছে। দিন পাঁচেক পরেই হরধমে শুরু হবে তরমুজ সংরক্ষণ ও বাজারজাত প্রক্রিয়া। এসময় যে মুখে হাসি থাকার কথা সে মুখে হতাশার ছাপ।
সার্বিক বিষয়ে আলাপ কালে তরমুজ চাষী মো. শাহ-আলম’সহ নিজাম পালপান, জাহাঙ্গীর মাঝি, হানিফ ও আলমগীর মাঝি জানায়, ‘প্রতি কানি জমিতে সার কীটনাশক, শ্রমিক ও জমি খরচ হয় প্রায় ১লাখ ২০হাজার টাকা। করোনা কারনে বাজার মন্দা। গত বছর ফলনে লস এবার করোনায় লস। তারা মনে করে, খরচের অর্ধেক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
এছাড়াও তরমুজ শ্রমিক পাভেল (১৭), লিমন(২৪) ও আকবর (৩৮) বলেন,‘আমরা মাসিক বেতনে কাজ করি। জনপ্রতি বেতন ভিন্ন ভিন্ন। সরদারের ১৬হাজার আর আমরা আমাকে ১০ থেকে ১২হাজার টাকা করে বেতনে কাজ করি।,
এবিষয়ে বাউফল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান (হিমু) বলেন, ‘এ মৌসুমে শিলা বৃষ্টি না হওয়ায় এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তরমুজের ফলন মোটামুটি ভালো। করোনার কারনে লাভ হওয়ার সম্ভাবনা কম তবে ক্ষতি হবে না।
তিনি আরো বলেন- তরমুজ ঢাকাতে আমদানী করতে সকল ধরনের সহায়তা দিতে আমরা প্রস্তুত।