অনলাইন ডেস্ক:
বিশ্বব্যাপী লকডাউনে কমেছে দূষণ। কলকারখানা, যানবহন বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণ কমেছে। আর এতে ওজন স্তরের বিশাল গর্ত বন্ধ হতে শুরু করেছে।
মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, বায়ু দূষণের ফলে ওজন স্তরে ১ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটারের একটি বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছিল। টানা লকডাউনে কার্বন নিঃসরণ কমে যাওয়ায় গর্তটি বন্ধ হতে শুরু করেছে। এই গর্তের ফলে পৃথিবীর মানুষ বিরাট হুমকিতে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে বিজ্ঞানীরা।সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি এই স্তর শোষণ করে নেয়
কোপারনিকাসের বায়ুমণ্ডল নিরীক্ষণ পরিষেবার (সিএএমএস) এক দল বিজ্ঞানী গর্তটি আবিষ্কার করেছিলেন। তারা গত সপ্তাহের শেষের দিকে বলেন, ওজন স্তরের এই বিশাল গর্তের জন্য মানুষের ক্রিয়াকলাপই দায়ী। আর মানুষ নিজেই নিজেদের বিপদ ডেকে নিয়ে এসেছিল। তবে আশার কথা হলো- বিশ্বব্যাপী লকডাউনে ওজন স্তরের এই বিশাল গর্ত বন্ধ হতে শুরু করেছে। গর্তটি বিশাল ছিল— প্রায় ১১ মাইল বিস্তৃত পথ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের মধ্যে পাওয়া যায়।
ওজন স্তর হলো পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের একটি স্তর। যেখানে তুলনামূলকভাবে বেশি মাত্রায় ওজোন গ্যাস থাকে। সূর্য থেকে আগত ক্ষতিকর আল্ট্রাভায়োলেট রেডিয়েশন বা অতিবেগুনী রশ্মি এই স্তর শোষণ করে নেয়। সূর্যের এই অতিবেগুনী রশ্মি মানুষ, প্রাণী ও উদ্ভিদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। অতিবেগুনী রশ্মি মানব দেহের ত্বকে ক্যান্সার, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস, প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস, গড় আয়ু হ্রাস, চোখে ছানি পড়াসহ অন্যান্য রোগ ব্যাধির সৃষ্টি করে।
ওজোন স্তরের ক্ষতি প্রাকৃতিক কারণেও হয়ে থাকে তবে এর পিছনে মূলত মনুষ্যসৃষ্ট কারণগুলোই বেশি দায়ী। ১৯৯৫ সালের পর থেকে ওজোন স্তর ক্ষয়ের জন্য ক্লোরোফ্লোরোকার্বনকে দায়ী করা হয়। কলকারখানা-যানবাহনের বিষাক্ত কালো ধোঁয়া থেকে সবচেয়ে বেশি ক্লোরোফ্লোরোকার্বন নির্গত হয়।
সূত্র: সিএনএন