কাজী আফরিদা তাসনিম:
অফুরন্ত আশার এক রাশ স্বপ্ন নিয়ে শুরু হওয়া টুইন্টি টুইন্টি (২০২০), বিষ সাল বিষের মতই তিক্ত আজ আমাদের জীবনে করোনা নামক এক অজানা ভয়ে। স্তব্ধ বিশ্ব, স্তব্ধ আজ আমাদের যৌবনের উদীপ্ততা।শিশু,কিশোর, যুবা,বৃদ্ধ সবাইকে যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে মৃত্যুর ভয়াল গ্রাস।শ থেকে শুরু হয়ে হাজার ছারিয়ে লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু মিছিলে গোটা বিশ্ব আজ বিপর্যস্ত।
কোন আশা নাই,স্বপ্ন নাই।কেবলই হতাশা সকালের শুরু থেকে রাতে ঘুমুতে যাওয়া পর্যন্ত। কোন কোন রাত নির্ঘুম ও কেটে যায়। আশা নিরাশার কত স্বপ্ন আর হতাশা নিয়ে কেটে যাচ্ছে কত দিনরাত। উদীপ্ত যৌবনও আজ জীবন মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে, খুজে ফিরছে রঙিন স্মৃতি। তবুও থেমে নেই জীবন।কেউ নিরন্তর ছুটে চলছে এই থমকে যাওয়া শহরের কোন প্রান্তে জীবিকার তাগিদে। কারও রয়েছে প্রয়োজনীয়- অপ্রয়োজনীয় খাদ্য কেনার আগ্রহ, কিন্তু ক্রয় করার পর কোভিড নামক অজানা ভয়ে তা রয়েছে গৃহে প্রবেশের অনাগ্রহ। বাজার থেকে শখ করে কেনা প্রিয় খাবারটিও পড়ে থাকে ঘরের বাইরে।আর এই করোনা যুদ্ধের মৃত্যুর মিছিলেও কারও ছুটে চলা পুরো বিশ্বজুড়ে চলমান এই ভাইরাস যুদ্ধের বীরসৈনিক হয়ে।
ডাক্তার,নার্স,পুলিশ, আর্মি,সাংবাদিক সহ ফ্রন্টলাইনার হয়ে কাজ করছে এই জীবন যুদ্ধে।পুলিশ সদস্যদের জীবন বাজি রেখে সার্বক্ষণিক ছুটে চলা আমাদের সচেতনতায়।তবুও সচেতন নই আমরা।বিশ্বজুড়ে চলমান এই মহামারীতে পুরো বিশ্বে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা যখন বয়স্কদের বেশী তখন আমাদের দেশে এর ঠিক উল্টো চিত্র।প্রিয় বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কর্ণধার যুবকদের আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক।
শুধুই আমাদের সচেতনতার অভাবে।যতদিন যাচ্ছে, আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে,বাড়ছে পাড়া-মহল্লায় যুব সমাজের আড্ডা।সাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বারংবার বলা হচ্ছে যুব সমাজকে সচেতন হবার জন্য।তবুও কেন সচেতন নই আমরা? পরিবারের প্রিয় মানুষটির জন্য আমাদের সামান্য সচেতনতাই পারে আমাদের সকলের পরিবার তথা প্রিয় দেশকে এই যুদ্ধে জয়ী করতে।এ যুদ্ধ ঘরে থাকার যুদ্ধ।এ যুদ্ধ বেচে থাকার যুদ্ধ এক অজানা অনুজীব এর বিরুদ্ধে। যে অনুজীব এর অজানা ভয় তাড়া করে ফিরছে সার্বক্ষণিক আমাদের সর্বক্ষণে।