ঝালকাঠিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমেই বাড়ছে। প্রতিদিনই এ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে কেউ না কেউ। করোনাকালের ১০২ দিনে ঝালকাঠিতে ১০১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন চারজন। সুস্থ হয়েছেন ৩৭জন।
সদর উপজেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হলেও বাস্তবে তা কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ। সদর উপজেলার যেকোন প্রান্তে, যেকেউ সহযেই প্রবেশ করতে পারে। সেখান থেকে বের হয়ে শহর কিংবা অন্য জেলায়ও যাচ্ছে মানুষ। স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই গায়ে গামিলিয়ে বাজারে কেনাকাটা করা হচ্ছে। গাদাগাদি করে যানবাহনে যাতায়াত করছেন যাত্রীরা। হোটেল রোস্তোরা এবং চায়ের দোকানেও আগের মতোই ভিড় বেড়েছে। মার্কেটগুলোতে সুরক্ষা সামগ্রী ছাড়াই চলছে বেচাকেনা
কারখানাগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে শ্রমিকরা কাজ করছেন। কাজ শেষে বাড়ি ফিরছেন অটোরিকশা বা অন্যকোন যাত্রীবাহী যানবাহনে। এসব কারণে দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে ঝালকাঠি জেলা। চার উপজেলাতেই এখন করোনা আক্রান্ত ব্যক্ত রয়েছে। এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেগুলোতে পর্যাপ্ত গ্লাভস ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এতে চিকিৎসাসেবাও ব্যহত হচ্ছে।
চিকিৎসকরা জানান, ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল ছাড়া অন্য তিনটি উপজেলাতে পর্যাপ্ত গ্লাভস ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহ নেই। চিকিৎসকরা বিভিন্ন স্থান থেকে এগুলো সংগ্রহ করে চিকিসাসেবা চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে স্বাস্থ্যসেবা নিয়েও ঝুঁকি রয়েছে। গত ১৫ জুন রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবুল খায়ের মাহমুদ রাসেল এবং এর আগে নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মিজানুর রহমান মোল্লার করোনা শনাক্ত হয়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী দেখতে গিয়ে তাদের সংস্পর্শে এই দুই চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে তাঁরা জানিয়েছেন। তাই উপজেলার হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত হ্যান্ড গ্লাভস ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ঝালকাঠির সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আবুয়াল হাসান বলেন, ঝালকাঠি সদর উপজেলায় ৩৪, নলছিটি উপজেলায় ২৮, রাজাপুর উপজেলায় ২৫ ও কাঁঠালিয়ায় ১৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৩৭জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪ জন। হ্যান্ড গ্লাভস ও অন্যান্য সুরক্ষা সামগ্রী আমাদের রয়েছে। এগুলো আরো প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।