আজ শনিবার পর্যন্ত গেল ২৪ ঘণ্টায় ঝালকাঠি জেলায় দুজন চিকিৎসকসহ নতুন করে ১০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত ১২২ জন জেলায় আক্রান্ত হলো। ঝালকাঠির ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আবুয়াল হাসান তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঝালকালি রাজাপুর উপজেলায় গালুয়া ইউনিয়নের বড় গালুয়া গ্রামের বাসিন্দা ও পশ্চিম চাড়াখালী হামেজউদ্দিন মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মো. আবু আইউব ফরাজী (৫০) করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। জ্বর ও কাশিতে অসুস্থ হয়ে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে নলছিটির ভৈরপাশায় গত ১৭ জুন সকালে জ্বর সর্দি ও কাশি নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তি বাদশা মিয়া (৬৫) করোনা পজেটিভ ছিলেন। ওই দিন স্বাস্থ্য বিভাগ তার নমুনা সংগ্রহ করে বরিশালে পরীক্ষার জন্য পাঠান। গতকাল রাতে তার প্রতিবেদন পজিটিভ আসে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মোট ছয়জন মারা গেছেন।
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় দুজন চিকিৎসক ও নলছিটি সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গিয়াস মাঝিসহ নতুন করে মোট ১০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
আক্রান্তরা হলেন, নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শিাউলি পারভিন (৩০), একই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সুরাইয়া (৩৩) ও একই উপজেলার হেলথ প্রভাইডার শফিকুল ইসলাম (৩৩), একই উপজেলার আনিসুর রহমান তালুকদার, সিদ্ধকাঠি গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল আলম গিয়াস, ষাটপাকিয়া এলাকার মিরাজ খান (৩৫) ও নলছিটি উপজেলা সদরের সাইফুল ইসলামক সিকদার (৩৮)। এছাড়া রাজাপুর উপজেলা বাঘাড়ি গ্রামরে মোতালেব হোসেন (৪৩) ঝালকাঠি জেলা শহরের স্টেশন রোডস্থ সাইদুল ইসলাম (২৮) আক্রান্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মুনীবুর রহমান জুয়েল বলেন , আক্রান্ত দুই নারী চিকিৎসককে হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায় , এ নিয়ে ঝালকাঠি জেলার চারটি উপজেলার মধ্যে সদর উপজেলায় ৪০ জন, নলছিটি উপজেলায় ৩৬ জন, রাজাপুর উপজেলায় ২৯ জন, ও কাঠালিয়া উপজেলায় ১৭ জন। ঝালকাঠি জেলায় শনিবার পর্যন্ত ১৪০৬জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানে হয়েছে এবং এর মধ্যে ১১৮০ জনের রিপোর্ট এসেছে, এদের মধ্যে ১২২ জনের রিপোর্ট পজিটিভ ও ১০৫৮ জনের নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে । জেলায় এ পর্যন্ত ১২৮১ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিল।
তাদের মধ্যে ১২১৯ জন ছাড়পত্র নিয়ে চলে গেছে। হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছে ৬২ জন। ঝালকাঠির সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আবুয়াল হাসান এ তথ্য জানিয়েছেন।
জেলা ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আবুয়াল হাসান বলেন, জেলায় গেল তিন দিনেই ২২জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় জেলা সদরসহ তিনটি উপজেলাই ঝঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাই সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আরও সচেতন হয়ে চলতে হবে।