টানা ৪ দিনের জলোচ্ছ্বাস ও অতি জোয়ারের পানিতে ভোলার ৭ উপজেলার বন্যা বিস্তীর্ন এলাকার কাঁচা-পাকা সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর বেড়িয়ে আসছে এসব এলাকার ক্ষতবিক্ষত চিহ্ন। অতিরিক্ত পানির চাপে ব্রিজ কালভার্ট ভেঙে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে বন্যা কবলিত এলাকার বিভিন্ন আঞ্চলিক ও স্থানীয় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। এতে যাতায়াত ও মালামাল পরিবহনে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন গ্রামীণ জনপদের হাজারো মানুষ।
জেলা এলজিইডি এর সূত্র মতে, টানা এই ৪ দিনের জলোচ্ছ্বাস ও অতি জোয়ারের পানিতে জেলার ৭ উপজেলার প্রায় ২০০ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক ৭০ কিলোমিটার পাকা সড়ক ৫টি ব্রিজ ও ৯টি কালভার্ট এবং ১৯টি ব্রিজ কালভার্টের এপ্রোচ সড়কের ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা-রাজাপুর গ্রামীণ সড়কের দক্ষিণ চরপাতা এলাকায় জয়নাল মেম্বার বাড়ি থেকে আব্দুল খালেক মেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অতি জোয়ারের পানিতে ওই সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। একই অবস্থা পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের মালের হাট-হাওলাদার বাজার সড়কটি। এই সড়কটির প্রায় এক কিলোমিটার ভেঙে স্থানীয় দাঁড়োগা খালি বিলীন হয়ে গেছে।
বন্যার পানি নেমে গেলে অতি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামীণ সড়কগুলো সংস্কারের দাবি জানান স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) সুব্রত রায় জানান, জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামীণ সড়কগুলোর তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। শিগগিরই তা পুনঃসংস্কার করা হবে। তবে তা একটু সময়সাপেক্ষ বলেও জানান তিনি।