বড় ধরনের কোনও গোলমাল ছাড়া স্বাভাবিকভাবেই কেটেছে ঈদ। এবার স্বাধীনতা দিবস ঠিকভাবে কাটলে উপত্যকায় জেলাভিত্তিক কারফিউ প্রত্যাহারের পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র। ধাপে ধাপে দেয়া হবে মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবাও।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ মাসের মধ্যেই উপত্যকায় স্বাভাবিক অবস্থা ফেরাতে চাইছে সরকার। ১২-১৪ অক্টোবর কাশ্মীরে প্রথম আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মাঝে এক মাস সময় হাতে আছে। তাই ১৫ আগস্টের পর দ্রুত কারফিউ তুলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে চাইছে নয়াদিল্লি।
এখন উপত্যকার পরিস্থিতি অপেক্ষাকৃত শান্ত। সকালের দিকে কারফিউ শিথিল করেছে প্রশাসন। শ্রীনগর প্রশাসন জানিয়েছে, উপত্যকার বিভিন্ন প্রান্তে চলছে স্বাধীনতা দিবসের প্রস্তুতি। অমিত শাহ ১৫ আগস্ট শ্রীনগরের লালচকে পতাকা তুলবেন বলে জল্পনা বাড়লেও মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত এমন কোন পরিকল্পনা নেই।
সেখানকার পরিস্থিতি বুঝতে পথে নেমেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। তিনি সিআরপিএফ ছাউনিতেও গেছেন। সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়তও দাবি করেছেন যে, কাশ্মীরিদের সঙ্গে সেনাদের সুসম্পর্ক অটুট রয়েছে। সত্তর বা আশির দশকে যেভাবে সেনারা খালি হাতেই কাশ্মীরিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত, আশা করছি, ভবিষ্যতেও সেই ছবিই দেখা যাবে।