প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া করোনাকালীন সহায়তা পেয়েছেন ভোলার ৭৫ জন সাংবাদিক। সোমবার দুপুরে ভোলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাংবাদিকদের হাতে এ সহায়তার চেক যৌথ ভাবে তুলে দেন ভোলা-৩ ও ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য নূরনবী চৌধুরী শাওন ও আলী আজম মকুল।
চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন, সাবেক বানিজ্যমন্ত্রী ও আ.লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদ।
করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরে কর্মহীন বা বেতন না পাওয়া এবং করোনাকালে সামনের সারিতে থেকে সাংবাদিকতা করছেন এমন ৭৫ জনকে এককালীন ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যান ট্রাস্টের আয়োজনে কোভিড-১৯ সাংবাদিকদের জন্য প্রধানমন্ত্রী বিশেষ আর্থিক সহায়তার এই চেক বিতরণ করা হয়।
এসময় চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ভোলা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু, ভোলা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো: মোশারেফ হোসেন, ভোলা জেলা আ.লীগের সাংগঠিনক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব। ভোলা প্রেস ক্লাবের সম্পাদক অমিতাভ রায় অপুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপত্বিত করেন ভোলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম হাবিবুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা মহামারির শুরু থেকে সব শ্রেনি-পেশার মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন। একদিকে করোনা মোকাবিলায় যেমন কাজ করছেন, অপরদিকে দেশের সব শ্রেনি-পেশার মানুষের জন্য প্রণোদনা ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। করোনাকালে সম্মুখযোদ্ধাদের জন্য বিশেষ সহায়তা দিয়ে আসছেন তিনি। তিনি আরো বলেন, আর্থিক সহায়তার চেয়ে অধিক মূল্যায়ন হচ্ছে কাজের স্বীকৃতি।
করোনাকালে ঝুঁকি নিয়ে ভোলার সাংবাদিকরা যে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন, তার মূল্যায়ন করে স্বীকৃতি দিতেই প্রধানমন্ত্রীর এ উপহার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবক্ষেত্রে সব সময় আন্তরিক। তাই এ অঞ্চলের সাংবাদিকদের করোনাকালীন ঝুঁকি নিয়ে কাজ করার জন্য তাদের কাজের স্বীকৃতি দিতেই এ উপহার পাঠিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী দলমত সবার জন্য উদার। সেজন্য সাংবাদিকদের সহায়তায় নিজের উদ্যোগে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছেন তিনি। বাকিরাও পর্যায়ক্রমে পাবেন। একজনও বাদ যাবেন না।