১২ রবিউল আউয়াল। ইসলামী চিন্তাবিদরা মনে করেন, দেড় হাজার বছর আগে ঘোর অন্ধকার যুগে এ তারিখেই পৃথিবীতে জন্ম নেন শ্রেষ্ঠ মানব ও শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। বর্তমানের সংঘাতময় পৃথিবীতেও রাসূলের জীবনাদর্শ যেকোন সংকটের সমাধানসূত্র হতে পারে বলেও, মনে করেন তারা। রাসূল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবনী নিয়ে আলোচনা, দরূদ ও জিকির আসকারের মাধ্যমে দিনটি অতিবাহিত করছে মুসলিম বিশ্ব।
বর্বর বেদুঈনদের সময়টা ঘোর অন্ধকার। গোত্র সম্মান যাবে, এ ভয়ে বালুর বুকে নিজ কন্যাকে পুঁতে রেখে আসতো পৌত্তলিক পিতা। গোষ্ঠীগত সংঘাত, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে প্রতিশোধের রক্ত, খুনোখুনি, অভাব, জীর্ণতা কিংবা দাসের জীবন। তপ্ত মরুর বুকজুড়ে তখন অজ্ঞতা-মুর্খতার গাঢ় অন্ধকার-আইয়ামে জাহেলিয়া।
১৪৫০ বছর আগের এক ১২ রবিউল আউয়াল। অমানিশায় ঘেরা আরবের বুকে যেন সত্য, সুন্দরের এক কুসুম সকাল। মা আমিনার কোলজুড়ে এলেন শিশু মুহাম্মদ (স.)।
ইসলামী চিন্তাবিদরা বলছেন, নবী মুহাম্মদ (সা.) একাধারে ছিলেন এক আদর্শ পিতা, সমাজ সংস্কারক, সমরবিদ কিংবা রাষ্ট্রনায়ক। তার জীবনাদর্শ সমস্যাসংকুল এ সময়েরও জন্যও সমানভাবে যৌক্তিক ও প্রাসঙ্গিক।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকারারমের সিনিয়র পেস ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মিজানুর রহমান বলেন, তার আমল, আখলাক, আদর্শ আমাদেরকে জানতে হবে। সেভাবে জীবন গড়তে হবে। রবিউল আওয়াল আসলে আমরা সে কাজটি করে থাকি। তবে পন্থা বিভিন্ন আঙ্গিকে হয়ে থাকে। কেউ সেমিনার, মাহফিল বা লেখনির মাধ্যমে করে থাকে।
ব্যক্তিজীবনে কঠোরভাবে রাসুল (সা.) এর অনুসরণ, ঈদে মিল্লাদুন্নবীর সবচেয়ে বড় শিক্ষা বলে উল্লেখ করেন ইসলামী চিন্তাবিদরা।