বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

কমিউনিটি পুলিশিং জোরদার হওয়ায় বরিশালে অপরাধ কম : ববি ভিসি

কমিউনিটি পুলিশিং জোরদার হওয়ায় বরিশালে অপরাধ কম : ববি ভিসি

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোঃ ছাদেকুল আরেফিন বলেছেন, ছোট বেলায় দেখতাম পুলিশকে কেবলমাত্র গ্রামের চৌকিদার, দফাদার ও জনপ্রতিনিধিরা সাহায্য করতো। তথ্য দিত, অপরাধ দমনে ভূমিকা রাখতো। কিন্তু বর্তমানে পুলিশ আধুনিকায়ন হওয়ায় সমাজের সব শ্রেনীর মানুষের সাথে পুলিশের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। তথ্য আদান-প্রদান করতে, অপরাধ দমনে কাজ করছে। এতে করে যেকোন ঘটনার রহস্য উন্মোচন এবং বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সহজেই নিয়ন্ত্রনে আনতে পারছে পুলিশ। এসব সম্ভব হয়েছে সাধারণের সাথে পুলিশের দূরত্ব কমিয়ে এনে জনতার সমতায় নিয়ে আসার জন্য। তেমনই একটি মাধ্যম হচ্ছে বিট পুলিশিং।

শনিবার ৫ম বিট পুলিশিং ডে উপলক্ষে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তেব্যে এসব কথা বলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোঃ ছাদেকুল আরেফিন।

তিনি আরও বলেন, পুলিশের এই সফলতা শুধু একার নয়; এতে জনসাধারণও অংশিদার। সেকারনে জনগণকে আরও উদ্বুদ্ধ করতে হবে পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে। তথ্য ছাড়া যেমন বর্তমান বিশ্ব অন্ধ তেমনি তথ্য ছাড়া পুলিশ বাহিনীও কার্যকর কর্মকান্ডহীন হয়ে থাকতে হয়। ছদেকুল আরেফিন বলেন, পুলিশ ও জনগণ উভয়ের পরিপূরক হতে হবে। প্রফেসর ড.মোঃ ছাদেকুল আরেফিন আরও বলেন, জনগণের সাথে সরাসরি কাজ করে একমাত্র পুলিশ বাহিনী।

স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ হিসেবে পুলিশ বাহিনীর অত্যান্ত বড় ত্যাগ রয়েছে। কমিউনিটি পুলিশিংয়েরর কনসেপ্ট যথাযথ ব্যবহারে পুলিশ ও জনতার মাঝে একটি আস্থার সেতু নির্মাণ করার মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে সহায়তা করবে। তার মতে, কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম জোরদারের কারণেই বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকায় অপরাধের মাত্রা কম রয়েছে। মানবাধিকার এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন না হলে দেশের উন্নতি আশা করা যায় না। কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থাকে সামাজিক ব্যবস্থার অংশ করে একযোগে কাজ করে দেশকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

সভাপতির বক্তৃতায় কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কমিউনিটি পুলিশিংয়ের বিকল্প নেই। এটা আধুনিক পুলিশিং, গণতান্ত্রিক পুলিশিং এবং জনবান্ধব পুলিশিং। জনবান্ধব করাই আধুনিক পুলিশিংয়ের মূলমন্ত্র। এটি অপরাধ দমনে অনেক সহায়ক। এর মাধ্যমেই পুলিশের প্রতি আস্থা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং একটি জনবান্ধব পুলিশ বাহিনী তৈরি করতে পারে।

বিএমপির শীর্ষ এই কর্মকর্তা মনে করেন, মানুষ যত বেশি পুলিশের প্রতি আস্থা আনবে তত বেশি পুলিশ তথ্য পাবে। এত করে পুলিশ দক্ষতার সাথে অপরাধকে দমন করে নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে পারবে। একই সাথে তিনি বিএমপির পুলিশ সদস্যদের পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করার আহবান রাখেন। বিএমপি কমিশনার বলেন, আমার দূর্ভাগ্য যে মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি যুবক ছিলাম না, কিশোর ছিলাম না, আমি যুদ্ধে যেতে পারিনি।

মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের মতো মহিমান্বিত, সম্মানিত মর্যাদার আর কিছু হতে পারে না। যার ডাকে সাড়া দিয়ে, যেই চেতনা নিয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম, সেই চেতনা, সেই অসাম্প্রদায়িক বাংলা গড়ার আহ্বান মুছে যায় নি। সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্প্রীতির বাংলাদেশকে আরও মজবুত করার জন্য যদি সত্যি সত্যি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের মানুষ হই, যদি মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা জানাতে চাই, সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভাবশিষ্য হিসেবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ভাবশিষ্য হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মানুষ তথা একটি মহান পেশার মানুষ হিসেবে জনগণের প্রতি আস্থার প্রতীক হিসেবে আমরা প্রতিটি নাগরিক স্ব-স্ব অবস্থান থেকে একেকজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কাজ করে এইদেশকে আরও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।

বিশেষ অতিথি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার প্রলয় চিসিম বলেন, সবাই বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আছে। অতিদ্রুত সময়ে এই ৫৬ হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশ সকল দেশকে পেছনে ফেলে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমাদের সামনে অনেক মেগা প্রজেক্ট রয়েছে। সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে সমাজের প্রতিটি মানুষকে আইন মান্যকারী সুনাগরিক হয়ে ধৈর্য ও শৃঙ্খলার সাথে এগিয়ে যেতে হবে। সেন্স অব সিকিউরিটি যেন আমাদের জনগণের মধ্যে কাজ করে সেই মানসিকতা তৈরি করতে হবে। তাহলেই আমরা শীর্ষে এগিয়ে যেতে পারবো।

নগরীর অশ্বিনী কুমার হলে অনুষ্ঠিত বিএমপি কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, র‌্যাব-৮ এর অধিনায়ক আতিকা ইসলাম, উপ-কমিশনার আবু রায়হান মোহাম্মদ সালেহ, মোঃ মোকতার হোসেন, মোঃ জাকির হোসেন মজুমদার, মোঃ খাইরুল আলম, খান মুহাম্মদ আবু নাসের, মনজুর রহমান, পাবলিক প্রসিকিউটর ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম জাহাংগীর, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড আফজালুর করিম, প্যানেল মেয়র গাজি নাইমুল ইসলাম লিটু, বি এম কলেজের সাবেক অধক্ষ প্রফেসর সম ইমানুল হাকিম, ডাঃ এস এম রিয়াজুল ইসলাম মোল্লা প্রমূখ।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech