অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়ায় রুম্মান বিশ্বাস নামে এক যুবককে জবাই করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে যুবদল নেতা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
নিহত রুম্মান বিশ্বাস (দপদপিয়া) জিরো পয়েন্ট এলাকার আব্দুস সাত্তার বিশ্বাসের ছেলে এবং এম খান গ্রুপ- ঠিকাদার মাহফুজ খানের দপদপিয়ায় টোলের ক্যাশিয়ার দায়িত্বে ছিলেন।
হত্যায় অভিযুক্তরা হলেন- একই এলাকার আইয়ুব আলীর ছেলে ২ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি আল মামুন। এছাড়া অন্যান্যরা হলো নুরুল হাওলাদারের ছেলে রানা, নূরে আলমের ছেলে জিহাদ, কাজেম আলীর ছেলে আলমগীর, ফজলে আলীর ছেলে মিরাজসহ অজ্ঞাত কয়েকজন।
নিহতের চাচাতো ভাই মুন্না জানান, দীর্ঘদিন ধরে দপদপিয়া এলাকায় বসার মেম্বার ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা আজিজ বিশ্বাসের সাথে রাজনৈতিক অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও জমিজমা- চাঁদাবাজির বিষয়ে নিয়ে ২ নং ওয়ার্ডের আইয়ুব আলীর ছেলে যুবদল নেতা আল মামুনের বিরোধ চলে আসছে।
আল মামুন ও তার বাহিনী চাঁদাবাজি, মাদকসহ বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকায় বশার মেম্বার ও আজিজ বিশ্বাস এর প্রতিবাদ করেন। যে কারণে আল মামুনসহ তাদের বাহিনী বসার মেম্বার ও আজিজ বিশ্বাসসহ তাদের পরিবারকে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখানোসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল।
এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলমান, ঘটনার দিন রোববার আজিজ বিশ্বাসের চাচাতো ভাই টোলের ক্যাশিয়ার রুম্মান বিশ্বাস সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে টোলের উদ্দেশে রওনা দিলে হঠাৎ তাকে পূর্ব শত্রুতামূলক পথরোধ করে যুবদল নেতা আল মামুনসহ তাদের সহযোগীরা।
একপর্যায়ে আল মামুন, রানা, জিহাদ, আলমগীর, মিরাজসহ অন্যান্যরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে রুম্মান বিশ্বাসকে পরিকল্পিতভাবে জবাই করে হত্যার চেষ্টা চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা রুম্মানকে উদ্ধার করে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আব্দুল হালিম তালুকদার জানান, হত্যার ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।