লালমোহন ভোলা প্রতিনিধি:
ভোলার লালমোহনে পাওনা টাকা ফেরত না পাওয়া ও তা আত্মসাতের অপচেষ্টায় লালমোহন উপজেলাধীন ৬নং ফরাজগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ ফরহাদ হোসেন মুরাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তুলে সম্মানহাণীর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মোঃ মোস্তফা নামের এক ব্যক্তি।
বুধবার দুপুরে লালমোহন প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোঃ মোস্তফা বলেন, গত ২০১২ সালে ফরাজগঞ্জ ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ড কিশোরগঞ্জ এলাকার মৃত আঃ রশিদেও ছেলে মোঃ আবুল কালামের কাছ থেকে জমি ক্রয়ের জন্য দেড় লক্ষ টাকা দেন তিনি। দীর্ঘ কয়েক বছর পেরিয়ে গেলেও ঐই জমি বুঝিয়ে দেয়নি এমনকি টাকাও ফেরত দেয়নি আবুল কালাম। এ নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে একাধিকবার শালিস পরবর্তী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও থানার দ্বারাস্থ হন মোঃ মোস্তফা।
পরে থানার মাধ্যমে বসা শালিস আবুল কালাম কে ১ লক্ষ ৭০হাজার টাকা ফেরতের আদেশ দেয়। তখন ৮৫হাজার টাকা দিয়ে বাকি টাকা পরিশোধে ২মাস সময় নিয়ে দুই বছর পেরিয়ে গেলেও টাকা পরিশোধ করেনি আবুল কালাম। এনিয়ে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ফরহাদ হোসেন মুরাদের কাছে বিচার দিলে তিনি আবুল কালাম কে ফয়সালায় বসতে বলেন।
কিন্তু নিজের অপরাধ জেনে ফয়সালা কে বিলম্বিত করে আমার টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে গত শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তুলে আবুল কালাম ও তার মেয়েরা সংবাদ সম্মেলন করেন।
এসময় ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন মুরাদের বিরুদ্ধে তোলা মিথ্যে অভিযোগের তিব্র নিন্দা জানিয়ে নিজের টাকা ফেরত পেতে আবুল কালামের বিচার দাবি করেন মোঃ মোস্তফা।
উল্লেখ্য, পিতাকে মারধরের অভিযোগ এনে গত ২২ জানুয়ারি লালমোহন প্রেসক্লাবে ফরাজগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ করেন আবুল কালামের দুই মেয়ে ।