সাতক্ষীরা থেকে বিক্রির জন্য ভোলায় আসা ৩০০ কেজি ভেজাল ছানা জব্দ করেছে স্থানীয়রা। পরে এসব ছানা ভোলা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে হস্তান্তর করে তারা।
বুধবার (৩ মার্চ) রাতে উপজেলার ভেদুরিয়া লঞ্চঘাট এলাকা থেকে একটি বোরাক ভর্তি এসব ছানা জব্দ করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র সাতক্ষীরা থেকে ভেজাল ছানা ভোলায় এনে মিষ্টির দোকানে বিক্রি করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার সাতক্ষীরা থেকে ৩০০ কেজি ভেজাল ছানা বরিশাল হয়ে লঞ্চযোগে ভোলার ভেদুরিয়া লঞ্চঘাটে আসে।
পরে স্থানীয় বোরাকচালক নূরউদ্দিনের বোরাকে করে ওই ছানা ভোলা শহরের বাসু ঘোষের মিষ্টির দোকানে নেওয়ার সময় স্থানীয়রা এগুলো জব্দ করে।
এর আগেও ভোলা শহরের ঘোষপট্টির বাসুদেব ঘোষের দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে সাতক্ষীরা থেকে আসা ছানা জব্দ করে এবং তাকে জরিমানা করে।
পরে ওই ছানা ল্যাবরেটরি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলে এতে শূকরের চর্বিসহ নানা রাসায়নিক পাওয়া যায়।
বোরাকচালক নুরউদ্দিন জানান, ভোলার ঘোষপট্টির খাঁটি দধি ভাণ্ডারের মালিক বাসুদেব ঘোষের দোকানের ম্যানেজার তাকে ফোন করে ভেদুরিয়া লঞ্চঘাট থেকে ছানার দুইটি ঝুড়ি তার দোকানে নিয়ে আসতে বলেন। তাই তিনি এগুলো নিয়ে এসেছেন।
এ বিষয়ে ভোলা ডেইরি ফার্ম মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান জানান, একটি চক্র স্থানীয় গরু-মহিশের দুধ না কিনে সাতক্ষীরা থেকে ভেজাল ছানা কম দামে ক্রয় করে ভোলায় এনে বিক্রি করে। পর এ ভেজাল ছানা দিয়েই মিষ্টি তৈরি করেন দোকানিরা।
তিনি আরও জানান, ভোলার কয়েকজন চিহ্নিত ব্যবসায়ী এই ভেজাল ছানা সাতক্ষীরা থেকে এনে তা বাজারে বিক্রি করে। যার ফলে সাধারণ ক্রেতারা আসল দুধের ছানার মিষ্টি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি ভেজাল ছানার বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান পরিচালনার দাবি জানান।
এদিকে ভোলা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু আব্দুল্লাহ খান বলেন, স্থানীয়রা আমাদের কাছে ছানা নিয়ে এসেছে। আমরা ওই ছানার ল্যাবরেটরি পরীক্ষা করার জন্য নমুনা পাঠাব। ভেজাল প্রমাণিত হলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।