ঝালকাঠির নলছিটিতে পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে তিনটি ইটভাটা গুড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়া চারটি ভাটা থেকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। বৃহস্পতিবার উপজেলার সুগন্ধা নদী তীরে দিনভর এ অভিযান চালানো হয়।
বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, নলছিটি উপজেলার সুগন্ধা নদী তীরের দুইপাশে বেশ কয়েকটি ইটভাটা গড়ে ওঠে। এসব ইটভাটার বেশিরভাগই নিয়মকানুন না মেনেই চলছে। বৃহস্পতিবার বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কামরুল ইসলাম সরকারের নেতৃত্বে র্যাবের সহযোগিতায় সাতটি ইটভাটায় অভিযান চালানো হয়। নিষিদ্ধ ড্রাম চিমনীযুক্ত সনাতন পদ্ধতির ইটভাটা ও ১২০ ফুট ইটভাটায় অবৈধভাবে ইট তৈরি ও পোড়ানোর কাজ চলছিল। এসময় তিনটি ইটভাটার কিলন ও চিমনী ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। ভাটার কাঁচা ইট ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পানি ঢেলে ধ্বংস করে ফেলে। সম্পূর্ণ ধ্বংস ইটভাটাগুলো হলো সুগন্ধা নদী তীরের অনুরাগ গ্রামের পারভীন আক্তারের তিলক ব্রিকস, সারদল গ্রামের মো. কামাল মৃধার এমআর ব্রিকস ও একই গ্রামের সোহেল মৃধার এমএমএ ব্রিকস। এদিকে গৌরিপাশা গ্রামের দেলোয়ার হোসেন খানের রিয়াজ ব্রিকসে অভিযান চালিয়ে ছয় লাখ টাকা, সারদল গ্রামের মো. মহিদুর রহমানের এমএমআর-১ ব্রিকসে ছয় লাখ টাকা, সুজাবাদ গ্রামের জুলফিকার আলী এমএমআর-২ ব্রিকসে তিন লাখ টাকা ও জাগুয়াহাট এলাকার মো. মোস্তফার এমএমবি ব্রিকস থেকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কামরুল ইসলাম সরকার বলেন, ইটভাটাগুলোতে সরকারের নিয়মকানুন মানা হচ্ছে না। এতে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। তাই অভিয়ান পরিচালনা করে তিনটি ইটভাটা ধ্বংস ও চারটি থেকে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যহত থাকবে।