বরিশাল প্রতিনিধি:
চ্যানেল টোয়েন্টিফোর ও দৈনিক যুগান্তরের ঝালকাঠি প্রতিনিধি আক্কাস সিকদারের বিরুদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর ও শ্লীতাহানির অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন ঝালকাঠি যুব মহিলা লীগের সহ সভাপতি ফাতেমা শরীফ। মামলায় আরও দুই ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করা হয় এবং শুক্রবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি নুরুল ইসলাম। মামলায় অন্যান্য বিবাদীরা হলেন, মনির হোসেন ও নেয়ামুন বাশার মনকা। এরা দুইজনই ঝালকাঠি সদর এলাকার বাসিন্দা।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৩ আগস্ট বরিশাল নগরীর সদর রোডস্থ সিটি কলেজের সামনে মামলার বিবাদী আক্কাস হোসেন ফাতেমা শরীফকে মারধর ও শ্লীতাহানি ঘটায়। এরপর বিবাদীরা ফাতেমা শরীফকে পাশের হোটেলে নিতে টানা হেচরা করলে তার সাথে থাকা বান্ধবী রাকি জাহান ছাড়াতে গেলে বিবাদীরা তারও শ্লীতাহানি করে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জন ফাতেমা শরীফ ও তার বান্ধবী রাকি জাহানকে মারধর করে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
এই বিষয়ে সাংবাদিক আক্কাস সিকদার বলেন, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে আওয়ামী লীগ নেত্রী শারমিন মৌসুমী কেকার বিরুদ্ধে এক নারীর চুল কেটে দেওয়া ও শহীদ মিনার ভেঙে ফেলা সংশ্লিষ্ট সংবাদ করায় ঐ নেত্রী আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়। এরপরপরই আমার বিরুদ্ধে পর পর দুইটি মামলা দায়ের করা হয়। একটার বাদী সে নিজে এবং অপরটি তার সমর্থক। ৩ আগস্ট যে ঘটনার কথা বলা হয়েছে সেদিন তো আমি বরিশালেই ছিলাম না। ঢাকা রয়েছি গত ৫ দিন যাবৎ। মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে আমাকে।
এর আগে ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন মৌসুমি কেকা বাদী হয়ে ঝালকাঠি থানায় ২৮ জুলাই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। ঝালকাঠি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খলিলুর রহমান জানান, ফেসবুক একটি পোস্টে কমেন্টের সূত্রধরে ২৮ জুলাই রাতে মামলাটি করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।