করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ সদস্যদের প্রশংসনীয় পদক্ষেপ সকলের নজর কেড়েছে। স্থানীয় হাট-বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে প্রতিদিন তারা প্রচারণামূলক মাইকিং করছেন।
বিশেষ করে এলাকাভিত্তিক দায়িত্ব ভাগ করে নিয়ে মুখে মাস্ক পরা এবং স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করছেন। এসব কাজে ইউনিয়ন পরিষদ ও সরকার দপ্তর থেকে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন গ্রাম পুলিশ সদস্যরা।
রবিবার ছিল ইলিশার হাট। বিকালে ইলিশা বাজারে সরেজমিন দেখা যায়, ওই ইউনিয়নের দফাদার মো. বাচ্চুর নেতৃত্বে আ. গনি, হারুনসহ ১০ জন চৌকিদার দায়িত্ব পালন করছেন। মুখে মাস্ক ছাড়া কেউ বাজারে এলে তাকে মাস্ক পরিয়ে দিচ্ছেন। বিকাল ৩টার পর সকল ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছেন। অযথা কেউ রাস্তায় বের হলে তাকে করোনা বিষয়ে সতর্ক করছেন এবং বাড়ি ফিরে যেতে পরামর্শ দিচ্ছেন।
দায়িত্বরত গ্রাম পুলিশ প্রধান (দফাদার) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, তারা ইলিশা বাজার, জংশন বাজার, ইলিশা লঞ্চঘাট ও ফেরিঘাটসহ প্রতিটি হাট বাজারে প্রচারণা চালাচ্ছেন। মানুষকে সচেতন করছেন। সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মানতে উৎসাহিত করছেন। করোনার ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন তারা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছেন। তবে এজন্য তারা বিশেষ কোনো ভাতা পাচ্ছেন না বলেও জানান।
ইলিশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসান মিয়া এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা সরোয়ারদী মাস্টারসহ স্থানীয়রা জানান, করোনা প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত লকডাউন বাস্তবায়নে তারা সকলে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। একালায় মাস্ক বিতরণ, মাইকিংসহ সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে। বিকাল ৩টার আগেই হাট-বাজার বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। আর এসব কাজে গ্রাম পুলিশ সদস্যরা প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছেন।