ইউপি সদস্য মোসাঃ রেহেনা বেগম জানান, তারা বাল্য বিবাহ বন্ধের জন্য কাজ করে থাকে কিন্তু বাবা-মা তাদের মেয়েদের অন্য এলাকায় আতœীয়দের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বিয়ে দিয়ে থাকেন। করোনায় অনেক মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। তাই তিনি মনে করেন কিশোর কিশোরীদের বাবা-মায়েদের জন্য আরো বেশি সচেতনতারমূলক অধিবেশন আয়োজন করা প্রয়োজন, তেমনি গুরুত্ব দিতে হবে পরিবার পরিকল্পনায়ও।
কিশোর কিশোরী প্রতিনিধি অধরা শাহ্ অথৈ বলেন,করোনা কালীন সময়ে তাদের স্কুল এর স্যাটালাইট ক্লিনিক বন্ধ রাখা হয়েছে।তারা যেহেতু করোনার মাঝেও এ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে স্কুলে আসতে পেরেছে তখন সপ্তাহে একদিন তাদেরকে বললে তারা সেশনে অংশগ্রহণ করতে পারতো। সেই সাথে তিনি আরো বলেছেন যে, বাল্য বিবাহের ক্ষেত্রে আইনের বাস্তবায়নে ঘাটতি রয়েছে।তার বান্ধবীর বাল্য বিবাহ বন্ধের জন্য আইনের সহায়তা চাইলেও পুলিশ প্রশাসন সেভাবে ব্যাপারটা গুরুত্ব দেননি।
সাব এসিসট্যান্ট কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ মলিনা রাণী বড়াল বলেন, এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি ২৪ ঘন্টাই প্রসূতি মায়েদের স্বাস্থ্য সেবার জন্য খোলা রাখা হয়। এমন কি করোনাকালীন লকডাউনের সময়ও স্বাস্থ্য সেবা চলমান ছিলো। রোগীর চাপ বেশি থাকলেও প্রয়োজনমাফিক জনবল নেই। কিশোর কিশোরীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্হ্য সেবা আরো ভালো ভাবে নিশ্চিত করার জন্য অতিরিক্ত জনবল একান্ত প্রয়োজন।
কিশোর-কিশোরী স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় কমিটির চেয়ারপার্সন মোঃ মাহতাব হোসেন সুরুজ বলেন, চরবাড়িয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে নিয়মিত কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হয়। তবে সেবা নিতে আসা কিশোরদের সংখ্যা খুবই কম। তাই তিনি মনে করেন এর জন্য তাদের কমিটিকে আরো অনেক বেশি কাজ করা প্রয়োজন।
প্রতীকি যুব সংসদ সূত্রে প্রকাশ, চরবাড়িয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রেকে যুবদের জন্য মডেল স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী কিশোর-কিশোরী স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় কমিটি শক্তিশালীকরণ সহ কিশোর-কিশোরীদের সাথে সচেতনতামূলক অধিবেশন আয়োজনের মাধ্যমে কোভিডকালীন সময়ে তরুণদের যৌন ও প্রজনন অধিকার প্রতিষ্ঠায় এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।