লালমোহন ( ভোলা) প্রতিনিধি:
একাত্তরে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে হিন্দু সম্পাদয়েরা
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এ দেশ স্বাধীন করেছেন। সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এ দেশে যুদ্ধ করেছে। তখন কিন্তু দেখা হয়নি কে হিন্দু, কে মুসলিম বা বৌদ্ধ, খ্রিস্টান। অথচ পঁচাত্তরের পর বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা হিন্দু, মুসলিম বিভাজন তৈরি করেছেন। তারা আবার বাংলাদেশে পাকিস্তানি ভাবধারার রাজনীতি বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছেন। তবে খুনি চক্রের সেই চক্রান্ত ধুলিস্যাৎ হয়েছে। বাংলাদেশে আমরা হিন্দু মুসলিম সবাই একসাথে সুখে শান্তিতে বসবাস করব।
আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে লালমোহন-তজুমদ্দিনে কোনো হিন্দু সম্পাদয় উপর কেউ কোন অত্যাচার অবিচার করতে পারেনি আগামী দিনগুলোতেও পারবে না। কেউ যদি হিন্দু সম্পাদয়ের উপর অত্যাচার চালায়, সে যে দলেরই হোকনা কেন তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিবো ।
লালমোহনে দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিভিন্ন মন্দিরে
পুজা মণ্ডপ কর্তৃপক্ষের হাতে জিআর চালের ডিও চেক প্রদান সহ আমি ব্যক্তিগত ভাবে ৫ হাজার টাকা করে নগদ অর্থ বিতরণ করি। মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) লালমোহন উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে জিআর চালের ডিও চেক প্রদান ও এমপি শাওনের ব্যক্তিগত নগদ অর্থ বিতরণ কালে ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, আমি প্রতি বছরের ন্যায় আপনাদের উৎসবে উপস্থিত হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আমলে যথাযথ মর্যাদায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে দুর্গাপূজা উদযাপন হয়ে আসছে। লালমোহন থানার ওসি সাহেবকে বলে দিয়েছি কঠোর নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। বিগত দিনগুলোতে কোনো রকম ইভটিজিং ও বিশৃঙ্খলা ঘটেনি, এবারও যেন কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে।
অন্যদিকে লালমোহন কেন্দ্রীয় পূজা মণ্ডপের পুরোহিত দুর্গাপূজা আয়োজনে এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের সার্বিক সহযোগিতায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। পুরোহিত প্রদীপ কুমার ব্যানার্জি বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এবার করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা উদযাপন করা হবে। ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন আমাদের সার্বিক খোঁজখবর নিচ্ছেন এবং সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন। শারদীয় দুর্গোৎসব সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশা করি।
লালমোহন উপজেলায় ২২টি পূজা মণ্ডপের প্রত্যেকটিতে ৫০০০ টাকা ও বরাদ্দকৃত ডিও প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউএনও পল্লব কুমার হাজরা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম হাওলাদার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাসান রিমন, লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ মাকছুদুর রহমান মুরাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতি আক্তার হোসেন, রামগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তফা মিয়া, লর্ডাহিঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মিয়া, সহ হিন্দু কল্যাণ পরিষদের সকল সদস্য ও উপজেলার সকল পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি, সম্পাদক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।