ভোলার বোরহানউদ্দিনে পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষে চারজন নিহতের ঘটনায় জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। সোমবার সকাল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।
ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।
এদিকে সোমবার বেলা ১১টার দিকে ভোলা প্রেসক্লাব চত্বরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছেন মুসলিম ঐক্য পরিষদের নেতাকর্মীরা। সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সমাবেশের অনুমতি না পেয়ে বর্তমানে তারা ভোলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করছেন। সেখান থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ও বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে জেলায় চার প্লাটুন বিজিবি, দুই প্লাটুন র্যাব ও বিপুল পরিমাণ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়ছার।
প্রসঙ্গত, ফেসবুকে মহানবীকে (সা.) কটূক্তির অভিযোগে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার ঈদগাহ মসজিদ চত্বরে তৌহিদি জনতার ব্যানারে রোববার সকালে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ডাকা হয়। তবে পুলিশের হস্তক্ষেপে সকাল ১০টার মধ্যেই সংক্ষিপ্ত মোনাজাতের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ করা হলে পরে আসা লোকজন মোনাজাত পরিচালনাকারী দুই ইমামের ওপর চড়াও হয়। এতে বাধা দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে গ্রামবাসী। এ সময় পুলিশ গুলি ছুড়লে চারজন নিহত হন। সংঘর্ষে ১০ পুলিশসহ দেড়শতাধিক মানুষ আহত হন।