জানা যায়, নিহত রাশিদা তামিমের দ্বিতীয় স্ত্রী এবং তামিম রাশিদার দ্বিতীয় স্বামী। রাশিদা উপজেলার ১নং ব্রিজ সংলগ্ন এলকায় স্বামী-সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন।
আগৈলঝাড়া থানার ওসি গোলাম সরোয়ার বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বুধবার রাতে উপজেলার বাইপাস মহাসড়কের পাশে ঘেরের পাড় থেকে রাশিদার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। একই সময় কান্নার আওয়াজ পেয়ে ৫শ’ গজ দূর থেকে রাশিদার দশ মাস বয়সী শিশুপুত্র তানিমকে উদ্ধার করা হয়। মরদেহ উদ্ধারের পরপরই রাশিদার স্বামীর বাড়িতে অভিযান চালানো হয়।
আজ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তামিমকে তার বাড়ি গোপালগঞ্জের বেদ গ্রাম থেকে রক্তমাখা জুতা ও জামাসহ আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তামিম স্ত্রী রাশিদা হত্যার দায় স্বীকার করেছে।
ওসি আরও বলেন, তামিম জানিয়েছে বুধবার রাশিদাকে নিয়ে গোপালগঞ্জের একটি হোটেলে অবস্থান করে সে। রাত ৮টার পর লোকজনের সহায়তায় রাশিদাকে হত্যা করে সে। ওই রাতে একটি মাহেন্দ্র ভাড়া করে আগৈলঝাড়ার বাইপাস মহাসড়কের পাশে রাশিদার মৃতদেহ ও তার শিশু সন্তানকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে বলে জানিয়েছেন ওসি।