কর্মক্ষেত্রে নারী এগিয়ে যাচ্ছে। চিকিৎসক, শিক্ষকতা, ব্যবসা, রাজনীতি সবখানেই অংশগ্রহণ বাড়ছে তাদের। কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ নারীর স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে।
উচ্চ চাহিদা সম্পন্ন এবং মানসিক চাপযুক্ত চাকরি লিঙ্গভেদে প্রভাব ফেলে। এ বিষয়টি নিয়ে সুইডেনের গথেনবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহলগ্রেনস্কা একাডেমি একটি গবেষণা করেন।
গবেষণায় দেখা যায়, চাহিদাসম্পন্ন চাকরিতে পুরুষের তুলনায় নারীর ওজন বাড়ে।
কমিউনিটি মেডিসিন এবং জনস্বাস্থ্য নিয়ে করা গবেষণার প্রধান গবেষক সোফিয়া ক্লিংবার্গ বলেন, ‘উচ্চ চাহিদাসম্পন্ন চাকরি নারীর ওজনের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখলেও পুরুষের ক্ষেত্রে কোন ভূমিকা রাখে না।’
৩ হাজার ৮৭২ জন অংশগ্রহণকারী নিয়ে ২০ বছর ধরে এই গবেষণা করা হয়। গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, মানসিক চাপযুক্ত এবং উচ্চ চাহিদাসম্পন্ন চাকরির কারণে ৫০ শতাংশ নারীর ওজন বেড়ে গেছে। কম মানসিক চাপযুক্ত চাকরি করেন যেসব নারী তাদের ওজনও কম বাড়ে।
উচ্চ চাহিদাসম্পন্ন চাকরি করে যেসব নারী তাদের ওজন বাড়ার সঠিক কারণ বের করতে পারে নি। তবে সোফিয়া ক্লিংবার্গ ধারণা করেছেন, যেসব নারী ভালো চাকরি করেন তারা বাড়ির রান্না, ঘর গোছানো কিংবা অন্যান্য কাজ করেন না বলে এই সমস্যার সম্মুখীন হোন।
তিনি আরও জানান, উচ্চ চাহিদাসম্পন্ন চাকরি কিংবা মানসিক চাপযুক্ত চাকরি করেও নারীরা যদি নিয়মিত ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খান তাহলে তাদের ওজন নিয়ন্ত্রনে থাকবে। অফিসের কাজ করেও নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে নিজেকেই উদ্যোগী হতে হবে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাকরি পাল্টালেই যে সমাধান হবে তা কিন্তু নয়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে অফিসে কাজের ফাঁকে ফাঁকে গভীরভাবে নিঃশ্বাস নিন। অফিসে চেয়ারে বসেই হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। দুপুরে খাওয়ার সময় নিজ ডেস্ক থেকে উঠে হেঁটে গিয়ে নির্দিষ্ট খাবার টেবিলে বসে খাবেন। এতে খাবার ঠিকমতো হজম হবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া