বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

ওয়েস্ট ইন্ডিজে পাওয়া সাফল্যে বেশি উত্তেজিত হওয়ার কিছু নেই

ওয়েস্ট ইন্ডিজে পাওয়া সাফল্যে বেশি উত্তেজিত হওয়ার কিছু নেই

স্পোর্টস ডেস্ক : 
ক্যারিবীয় সফরে ৩-০ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জয় বাংলাদেশের জন্য বিশেষ কিছু। কিন্তু বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল সতীর্থদের এই ফল নিয়ে খুব বেশি উত্তেজিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে ইএসপিএনক্রিকইনফোকে তামিম ইকবাল বলেন, ‘যেকোনো অ্যাওয়ে সিরিজে জয় সবসময়ই বিশেষ কিছু। দক্ষিণ আফ্রিকায় আমাদের সিরিজ জয়টাও ছিল বিশাল। কিন্তু আমি আমার দলকে বলেছিলাম,  ওয়েস্ট ইন্ডিজে জয়টা একটা অসাধারণ কৃতিত্ব হলেও এই সিরিজ জয় আমাদের মাথায় রাখা উচিত নয়।’

‘এই পিচে স্পিনারা অনেক সুবিধা পেয়েছিল। বিদেশে এই ধরনের সাহায্য পাওয়া যায় না। আমাদের সামনে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।’

ওয়ানডে সিরিজ জয় বাংলাদেশকে সফরে একটি দুর্দান্ত সাফল্য এনে দিয়েছে। অথচ এর আগে টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টিতে ২-০ ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। তামিম বাংলাদেশকে টানা পাঁচটি ওয়ানডে সিরিজ জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিশ্বকাপ সুপার লিগে ছয়টি। শেষ দুটি সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।

তামিম আসরে ১১৭ রান করে প্লেয়ার অব দ্য সিরিজের পুরস্কার জিতেছেন। দলের সাফল্যে অন্যতম অবদান রেখেছেন তিনি।

অধিনায়ক হিসেবে নিজের সাফল্য নিয়ে তামিম বলেন, ‘আমি সবসময় বলেছি, এটি আমার জন্য একটি শেখার প্রক্রিয়া। আমি যখন আয়ারল্যান্ড ও জিম্বাবুয়েতে যাই, তখন আমাকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে। আমি যেভাবে পরিকল্পনা করি তা  কাজ না করলে, আমি প্ল্যান ‘বি’ নিয়ে চেষ্টা করি।’

বাংলাদেশ অধিনায়ক আরও বলেন, ‘টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে পরাজয়ের পর এটা আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল। আমরা ভেবেছিলাম টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টিতে আমরা আরও বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারব, যদিও তা সম্ভব হয়নি। সবাই ওই দুই ফরম্যাটে অনেক চেষ্টা করেছিল, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তা হয়নি। তাই সবার মধ্যে এটা কাজ করেছিল যে, আমাদের অন্তত ওয়ানডে সিরিজ জিততে হবে। সবার মধ্যে সেই ক্ষুধা ছিল।’

সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহিমের পাশাপাশি মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন এবং ইয়াসির আলী রাব্বি না থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ ওয়ানডে জিতেছে, এটি একটি ইতিবাচক দিক। বাংলাদেশের স্পিনাররা দারুণ পারফর্ম করে। ১৫.২৬ গড়ে ১৯ উইকেট তুলে নেন স্পিনাররা।  দ্বিপাক্ষিক বা ত্রিদেশীয় ওডিআই সিরিজে এটি সেরা গড়।

মিডল অর্ডারে নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটিং তামিমের দৃষ্টিতেও আলাদা। এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার অপরাজিত ২০ এবং অপরাজিত ৩২ রান করেন।

এ সম্পর্কে তামিম বলেন, ‘সাকিব ও মুশফিক যেকোনো ফরম্যাটেই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। তারা দেশের জন্য অনেক কিছু করেছেন। তাদের ছাড়া খেলা খুব কঠিন কাজ।  অবশ্য তাদের অনুপস্থিতিতে অন্য ছেলেরা খেলার সুযোগ পেয়েছিল। সোহান ভালো খেলেছেন। সোহান সেরা পারফরমারদের একজন ছিলেন।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেট সম্পর্কে তামিম বলেন, ‘এটি এমন একটি উইকেট, যেখানে আপনাকে সর্বাধিক শট কাটতে হয়েছিল।  অবশ্য এখানে শট খেলা কঠিন ছিল। বল অনেক ঘুরছিল। ভাগ্যক্রমে আমাদের বড় স্কোর তাড়া করতে হয়নি।’

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech