বিনোদন ডেস্ক :
২৯ জুলাই মুক্তি পেতে চলেছে বাংলাদেশি রহস্য-নাটক চলচ্চিত্র ‘হাওয়া’। মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত এ ছবিটিতে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী , নাজিফা তুষি সহ আরও অনেকে। ছবিটির প্রচারণার জন্য প্রথম দিন ‘হাওয়া’র পুরো দল গিয়েছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। আর সেখানে ছিল ভক্তদের উপচে পড়া ভিড়।
সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম আল দ্বীন মুক্তমঞ্চে ‘হাওয়া’ দলের উপস্থিত হওয়ার খবর পেয়ে বিকেল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জমায়েত হতে থাকেন।
শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা, কয়েকদিনের জলযাপন আর চরিত্রের সঙ্গে বসবাস- সব গল্পই উঠে এসেছিল অভিনেতাদের আলাপচারিতায়। সেই সঙ্গে ছবির বিখ্যাত সেই ‘সাদা কালা’ গানটি নিয়ে কথা বলতে ভোলেননি শিল্পী শিবলু।
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ৪৫ দিন জলে তারা দিন কাটিয়েছেন একসঙ্গে। চরিত্রের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেয়ার জন্য সবাইকে ওই চরিত্রের নাম ধরেই ডাকা হতো, আসল নামে নয়।
ছবিতে একমাত্র নারী চরিত্র ‘গুলতিকি’। এ চরিত্র অভিনয় করেছেন নাজিফা তুষি।
তিনি জানান, ছবিতে একমাত্র নারী চরিত্রে তাকে দেখা গেলেও শুটিংয়ের সময়ে তার সঙ্গে মেকাপ কস্টিউমের লোকও নারী ছিল। নিজেকে তিনি নারী হিসেবে না ভেবে অন্য সবার মত একজন পারফরমারই ভেবেছেন।
তিনি আরও বলেন, এ ছবিটি তার স্কুুলিং। ‘হাওয়া’ তে কাজ করে তিনি শিখেছেন কীভাবে অভিনেতারা চরিত্রের সঙ্গে মিশে যায়। গুলতি চরিত্রের জন্য তিনি ৬ মাস শাড়ি পড়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন, বেদে পল্লীতে গিয়েছেন কদিন পরপরই।
এদিকে, ছবির সব ঘটনার মধ্যেও ভাইরাল হওয়া এই ছবির গান ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গানের স্রষ্টাকে স্মরণ করেছেন চঞ্চল চৌধুরীও। হাশিমের সঙ্গে তার পরিচয় নিয়েও কথা বলেন তিনি।
গানটির কণ্ঠশিল্পী এরফান মৃধা শিবলু জানান, তিনি অনেকদিন আগে থেকেই এই গানের সঙ্গে পরিচিত। এর আগে তিনি কোনো সিনেমায় প্লে ব্যাক করেননি। এটাই তার প্রথম প্লে ব্যাক।
‘মেঘদল’ কে সাথে নিয়ে অবশেষে মঞ্চে উঠল ‘হাওয়া’ দল। ছবির অভিনেতাদের সামনে দেখতে পেয়ে দর্শকের উচ্ছ্বাস যেন আর বাঁধ মানে না। ভক্তদের সঙ্গে তাই গানের তালে সুর মিলিয়েছিলেন চৌকস অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী।
সবাইকে ২৯ জুলাই প্রেক্ষাগৃহে ‘হাওয়া’ দেখার আমন্ত্রণ জানিয়ে বিদায় নেয় ‘হাওয়া’ টিম।