বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

নেইমারের দুই বছরের কারাদণ্ড চেয়ে আবেদন

নেইমারের দুই বছরের কারাদণ্ড চেয়ে আবেদন

স্পোর্টস ডেস্ক : 
ট্রান্সফারে অনিয়মের অভিযোগে অক্টোবরে বিচারের মুখোমুখি হবেন ব্রাজিলীয় তারকা নেইমার। ২০১৩ সালে সান্তোস থেকে বার্সেলোনায় যাওয়া নিয়ে তারকা স্ট্রাইকারের ট্রান্সফার সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে বিচার করা হবে। তাঁর বাবা-মা এবং বার্সেলোনার সাবেক প্রেসিডেন্ট স্যান্ড্রো রোসেল এবং জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।

জালিয়াতির অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার কথা রয়েছে নেইমারের। ১৭ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত মামলার শুনানি চলবে বার্সেলোনার আদালতে।

নেইমার ২০১৭ সালে প্যারিস সেন্ট-জার্মেই থেকে বিশ্ব-রেকর্ড ২২২ মিলিয়ন ইউরোতে বার্সেলোনা ছেড়েছিলেন। কিন্তু ছেলেবেলার ক্লাব সান্তোস থেকে বার্সায় চলে যাওয়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়।

এএফপির খবরে জানা গেছে, নেইমার সান্তোসে থাকার সময়ে স্বত্বের মালিক ছিল ব্রাজিলের প্রতিষ্ঠান ডিআইএস। অনিয়মের অভিযোগটা তুলেছে এই প্রতিষ্ঠান।

বার্সেলোনা আনুষ্ঠানিকভাবে বলেছে, ট্রান্সফারের জন্য খরচ হয়েছে ৫৭.১ মিলিয়ন ইউরো, এর মধ্যে ৪০ মিলিয়ন ইউরো নেইমারের পরিবার পায়। ১৭.১ মিলিয়ন সান্তোসে যায়। কিন্তু স্প্যানিশ প্রসিকিউটররা পরে বলেছিল যে এটির জন্য কমপক্ষে ৮৩.৩ মিলিয়ন ইউরো খরচ হয়েছে।

সান্তোসকে দেওয়া ১৭.১ মিলিয়ন ইউরোর মধ্যে ডিআইএস ৬.৮ মিলিয়ন পেয়েছে। তারা অভিযোগ করেছে, বার্সা এবং নেইমার ট্রান্সফারের আসল পরিমাণ লুকিয়েছে।

আজ বুধবার ডিআইএস বলেছে, তারা সন্তুষ্ট যে মামলার বিচারের জন্য তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৬ সালে স্প্যানিশ আদালতে অভিযোগ করা হয়।

আইনজীবীরা নেইমারের দুই বছরের কারাদণ্ডের আবেদন করেছে। কিন্তু ব্রাজিলীয় তারকা জোর দিয়ে বলেছেন, তিনি শুধু ফুটবলে মনোযোগ দিয়েছিলেন এবং তিনি তাঁর বাবাকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করেছিলেন, তিনি তাঁর এজেন্টও।

বার্তোমেউ তাঁর বন্ধু রোসেলের কাছ থেকে বার্সেলোনার সভাপতির দায়িত্ব নেন। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে পদত্যাগ করার পরে তিনি ট্রান্সফার বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগের মুখে পড়েন।

২০২০ সালে বার্সেলোনা বলেছিল, তারা জালিয়াতির দাবির জন্য খেলাধুলার সালিশি আদালতে জানিয়েছে।

২০২০ সালের এক নথিতে দেখা গেছে, স্প্যানিশ কর্তৃপক্ষের কালো তালিকায় থাকা অন্য যেকোনো ব্যক্তির তুলনায় নেইমারের বকেয়া করের অঙ্কই বেশি।

বার্সেলোনা ২০১৬ সালে নেইমারের চুক্তিতে কর ফাঁকির অভিযোগে বিচার এড়াতে ৫.৫ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা দিতে সম্মত হয়েছিল।

সেই সময়কার বার্সা সভাপতি বার্তোমেউ বলেছিলেন, তখনকার ‘কর পরিকল্পনা ত্রুটি’ ছিল।

কর ফাঁকির দায়ে জরিমানা করায় ব্রাজিলে কর কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও সমস্যায় পড়েছিলেন নেইমার।

৩০ বছর বয়সী এই তরকা সম্প্রতি পিএসজির প্রাক-মৌসুম জাপান সফরে খেলছেন। পেলের পরে ব্রাজিলের সর্বকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা নেইমার।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech