বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

দুবাইতে টিম বাংলাদেশ

দুবাইতে টিম বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক : 
ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং কোচ আছেন, এমন কি স্পিন কোচও আছেন। কিন্তু হেড কোচ নেই। হেড কোচ ছাড়াই এশিয়া কাপ খেলতে গতকাল ঢাকা ছেড়েছেন সাকিবরা। টাইগারদের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো এখন শুধু টেস্ট ও ওয়ানডে কোচ। টি-২০ ফরম্যাটে নেই। তার জায়গায় বিসিবি নিয়োগ দিয়েছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী শ্রীধরন শ্রীরামকে। নিয়োগ দিয়েছে ‘টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট’ হিসেবে। ২০ ওভারের ফরম্যাটে শ্রীধরনই ম্যাচ পরিকল্পনা করবেন। দলকে নেতৃত্ব দেবেন সাকিব আল হাসান। দেশসেরা ক্রিকেটারকে টি-২০ ক্রিকেটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এশিয়া কাপ ও টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য। শ্রীধরনও নিয়োগ পেয়েছেন টি-২০ বিশ্বকাপ পর্যন্ত। সাকিব-শ্রীধরন জুটিতে টি-২০ ক্রিকেটে নতুন মাত্রার ক্রিকেট খেলার পরিকল্পনা নিয়ে দুবাই পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় টি-২০ বিশ্বকাপ। তার প্রস্তুতি হিসেবেই দুবাই-শারজাহতে বসছে এশিয়া কাপ। ৬ দলের খেলাগুলো হবে ২০ ওভারের। আসর শুরু ২৭ আগস্ট। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ৩০ আগস্ট, প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। দ্বিতীয় ম্যাচ ১ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।

সাকিবরা খেলতে গেছেন বেশ কয়েকজন নিয়মিত সদস্য ছাড়া। ইনজুরির জন্য ছিটকে পড়েছেন ড্যাসিং ওপেনার লিটন দাস ও ইয়াসির আলি। স্কোয়াডে থাকার পরও গোড়ালির ইনজুরিতে পড়ে ছিটকে গেছেন ডান হাতি পেসার হাসান মাহমুদ। ফিট হতে পারেননি বলে দলের সঙ্গে নেই নুরুল হাসান সোহান। দলে ওপেনার সমস্যার সমাধানেই টিম ম্যানেজমেন্ট শেষ মুহূর্তে দলভুক্ত করেছে বাঁ হাতি ওপেনার নাঈম শেখকে। গতকাল বিকালে ঢাকা ছাড়েন সাকিবরা। ভিসা জটিলতায় দলের সঙ্গে যেতে পারেননি ওপেনার এনামুল হক ও ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদ। আজ তারা যাবেন। নাঈম শেখ রয়েছেন আমিরাতেই। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজে খেলা শেষে দেশে ফেরার পথে তিনি রয়ে গেছেন দুবাইয়ে।

এশিয়ার দলগুলো নিয়ে ১৯৮৪ সালে শুরু হয় এশিয়া কাপ। বাংলাদেশ অংশ নেওয়া শুরু করে ১৯৮৬ সাল থেকে। ২০১০ সাল পর্যন্ত শুধু অংশ গ্রহণেই সীমাবদ্ধ ছিল। ২০১২ সাল থেকে চিত্র পাল্টে যেতে থাকে। সর্বশেষ চারটি আসরের তিনটিতেই ফাইনাল খেলে। কিন্তু রানার্স আপেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। ২০১২ সালে মিরপুর স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের কাছে ফাইনালে হেরে যায় মাত্র ২ রানে। ওই হারের পর সাকিব, মুশফিক ও নাসিরের কান্না এখনো হৃদয় ছুঁয়ে আছে দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের। ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে ফাইনাল খেলতে পারেনি টাইগাররা। ২০১৬ সালে পুনরায় ফাইনাল খেলে। মিরপুরের ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে যায় ৮ উইকেটে। ২০১৮ সালে সর্বশেষ এশিয়া কাপের আসর বসে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। দুবাই ও আবুধাবির আসরের ফাইনালে ফের ভারতের কাছে হেরে যায় শেষ বলে। এবারও শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। কিন্তু ছন্দহীন দল নিয়ে টাইগার অধিনায়ক সাকিব ফাইনালের স্বপ্ন দেখছেন না। তার টার্গেট সুপার ফোর। তবে প্রতি ম্যাচে উন্নতিই মূল টার্গেট, ‘আমাদের যে দল, তাতে সুপার ফোর খেলা টার্গেট। বাস্তবিক চিন্তা করলে আমরা যদি এই দুটা (গ্রুপের) ম্যাচ ভালো খেলতে পারি এবং আগের যে সিরিজগুলো খেলেছি বা এক দেড় বছরে যে সিরিজগুলো খেলেছি সেখান থেকে উন্নতির ছায়া যদি রাখতে পারি, তাহলে একটা অর্জন হবে এই টুর্নামেন্টে।’বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত এশিয়া কাপের ১২টি আসরে অংশ নিয়েছে। ৪৩ ম্যাচ খেলে জিতেছে মাত্র ৭টি। তিন শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় রয়েছে টাইগারদের। আসরে সবচেয়ে সফল দল ভারত। ১২ আসরে অংশ নিয়ে ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সর্বোচ্চ ৮ বার এবং রানার্স আপ একবার। শ্রীলঙ্কা ১৩ আসরে অংশ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন ৫ বার এবং রানার্সআপ ৬ বার। পাকিস্তান ১২ আসরে অংশ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ হয়েছে দুবার।

 

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech