বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

ডমিঙ্গো আর থাকছেন না?

ডমিঙ্গো আর থাকছেন না?

স্পোর্টস ডেস্ক : 

গত দুদিন ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও জাতীয় দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর মধ্যে জটিলতা বেশ জোরাল হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের কোচের পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকেই বিসিবির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিচ্ছেন তিনি। তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন আনেকেই। বিসিবি তাঁর কাছে জবাব চাইবে বলেও শোনা গিয়েছিল। নতুন খবর হলো, ডমিঙ্গো নাকি নিজে থেকেই সরে দাঁড়াচ্ছেন।

ডমিঙ্গো এরই মধ্যে দেশের একটি সংবাদমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন, বাংলাদেশের কোচের পদে তিনি আর থাকতে চান না। দ্রুতই নাকি সরে দাঁড়াচ্ছেন। অবশ্য বিসিবি এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেয়নি।

বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, ডমিঙ্গোর সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাকি ২০২৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত। তাঁকে টি-টোয়েন্টির কোচের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলেও টেস্ট ও ওয়ানডে দলের কোচের পদে রাখা হয়। এখন বোঝা যাচ্ছে এই দুটি পদেও তিনি থাকেত চান না।

ডমিঙ্গো বাংলাদেশ দলের কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন ২০১৯ সালের আগস্টে। সে বছর ২১ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে কাজে যোগ দেন তিনি।

সেই সময় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (২০২১ সালে হয়েছে) ও ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তখন তাঁর পরিকল্পনা ভালোই লেগেছিল বিসিবির।

দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৩, অনূর্ধ্ব-১৯ , ‘বি’ দল ও ‘এ’ দল এবং তিন সংস্করণেই দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান কোচ ছিলেন। পরে বাংলাদেশ দলের কোচের দায়িত্ব পান।

সম্প্রতি রাসেল ডমিঙ্গো বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি আমরা ভালো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলছি। ২০২১ সালের বিশ্বকাপে ছেলেরা বাইরের চাপ সামলাতে পারেনি। মূল পর্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এবং পরবর্তীতে বিশ্বের তিনটি শীর্ষস্থানীয় দল অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয় পাওয়া উচিত ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকা আমাদের বিরুদ্ধে জিতেছিল। এরপর আমাদের কোনো আত্মবিশ্বাস ছিল না। পরে আমরা ঘরের মাঠে পাকিস্তানের কাছে পরাজিত হয়েছিলাম। তখন থেকেই সবকিছু বদলে যায়। নির্বাচকরা দল পরিবর্তন করে। বাইরে প্রচুর উত্তেজনা ছিল। ক্রিকেটারদের ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার জন্য সময় প্রয়োজন। কিন্তু তারা তা করতে পারে না, কারণ তাদের সবসময় তিরস্কার করা হয়।’

বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস এর জবাবে বলেন, ‘ডমিঙ্গোর এমন আচরণ কাম্য নয়। আমি সভাপতিকে (নাজমুল হাসান) জানিয়েছি। তাঁকে নোটিশ দেওয়া উচিত। তবে এটা শোকজ নোটিশ না। তাঁকে বিষয়গুলো ক্লিয়ার করতে হবে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব। তারপর তাঁর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।’

ক্রিকেটারদের চাপে রাখা হয়, এই অভিযোগ অস্বীকার করে বিসিবির কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি কোনো ক্রিকেটারের সঙ্গে সিরিজ চলাকালীন কোনো কথা বলি না। সে আমাকে না অন্য কাউকে উদ্দেশ করে বলেছে, সেটা আগে জেনে নিই। তবে এটা ইতিবাচক কিছু নয়। তাকে এসব পরিষ্কার করতে হবে।’

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech