বিশ্ব ঐতিহ্য ও সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনভূমি সুন্দরবনকে জলদস্যু ও বনদস্যুমুক্ত করার প্রেক্ষাপট নিয়ে নির্মিত ‘অপারেশন সুন্দরবন’ সিনেমা চলছে দেশের ৩৫টি সিনেমা হলে।
সিনেমাটির প্রচারণায় ‘অপারেশন সুন্দরবন’ টিম রাজধানীর চিত্রামহল, মধুমিতা ও লায়ন সিনেমা হলে ‘সুন্দরবনের বাঘ এলো সিনেমা ভ্রমণে’ নামে একটি ক্যাম্পেইন শুরু করতে যাচ্ছে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ক্যাম্পেইনটি শুরু হচ্ছে ধোলাইপাড় রোডের চিত্রা সিনেমা হল থেকে। প্রতিটি সিনেমা হলে একটি করে টাইগার বুথ থাকবে যেখানে সোনা, রূপা এবং হিরা নামে তিনটি বাঘ থাকবে। এই তিনটি বাঘ দর্শকদের স্বাগত জানাবে এবং এই তিনটি বাঘ দর্শকদের সিনেমা দেখতে আসতে বলবে। শিশু-কিশোররা বাঘের প্রতি আকৃষ্ট হবে এবং তারা এসে বাঘের সাথে ছবি তুলবে এবং সেই ছবি ‘অপারেশন সুন্দরবন’ এর অফিসিয়াল পেজে পাঠালে পেজ থেকে সেই ছবি প্রকাশ করা হবে। এভাবে শিশু-কিশোরদের মধ্যে সুন্দরবনের বাঘ, প্রকৃতি এবং প্রাণি সম্পর্কে আগ্রহ বাড়বে এবং এদের সংরক্ষণের মানসিকতা বাড়বে।
এ প্রসঙ্গে সিনেমাটির প্রযোজক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘এই চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে আমরা সুন্দববনের প্রকৃতি এবং জীব বৈচিত্র রক্ষায় সাধারণ মানুষকে একটি বার্তা দিতে চেয়েছি। পাশাপাশি এই চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে এ অঞ্চলে জীববৈচিত্র এবং প্রকৃতি রক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য এবং দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলকে প্রাকৃতিক দুযোর্গ থেকে রক্ষা করতে সুন্দরবন অনাধিকাল হতে যে ভূমিকা রেখেছে চলেছে তা সকলকে পুনরায় স্মরণ করিয়ে দিতে চাই।’
দীপংকর দীপনের পরিচালনায় সুন্দরবনকে জলদুস্যমুক্ত করার অভিযানের গল্প নিয়ে নির্মিত ‘অপারেশন সুন্দরবন’; বন্যজীবন নিয়ে বাংলাদেশের প্রথম রোমাঞ্চকর কাহিনিচিত্র এটি।
২০১৯ সালে ২০ ডিসেম্বর সাতক্ষীরার বুড়িগোয়ালিনী এলাকায় শুটিং শুরু হয়েছিল ‘অপারেশন সুন্দরবন’ সিনেমার। করোনার কারণে কয়েক ধাপ পিছিয়ে গেল বছরের ১০ নভেম্বর মোংলার বানিয়াশান্তা এলাকায় সিনেমাটির শুটিং শেষ হয়।
সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন রিয়াজ আহমেদ, সিয়াম আহমেদ, নুসরাত ফারিয়া, জিয়াউল রোশান, দর্শনা বণিক, তাসকিন রহমান, রওনক হাসান, তুয়া চক্রবর্তী, মনোজ প্রামাণিক, সামিনা বাশার, রাইসুল ইসলাম আসাদ, আরমান পারভেজ মুরাদ, নরেশ ভুইয়া, মানস বন্দোপাধ্যায়, মনির খান শিমুল প্রমুখ।
সিনেমাটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান র্যাব ওয়েলফেয়ার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড।