বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com
সংবাদ শিরোনাম :
দেশের বাজারে রেকর্ড স্বর্ণের দাম সিনেমা-টিভি খাতে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৪ এর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী বিএনপি নেতারা সন্ত্রাসীদের সুরক্ষা দেওয়ার অপচেষ্টা করছে : ওবায়দুল কাদের উপজেলা নির্বাচন : এমপি-মন্ত্রীদের সন্তান ও আত্মীয়রা প্রার্থী হতে পারবেন না রেমিট্যান্স উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি : সমাজকল্যাণমন্ত্রী মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা বেতনের কর্মচারী ছিলেন জিয়াউর রহমান : পররাষ্ট্রমন্ত্রী কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে গিয়েই কী এমন বন্যার কবলে দুবাই? পরী মণির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন জিম্মিদশার রুদ্ধশ্বাস ৩১ দিন

জ্বর তাড়াবে ৭ রকমের চা!

জ্বর তাড়াবে ৭ রকমের চা!

শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবাই এ জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। ভাইরাস জ্বরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে অন্যান্য সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়। তবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। এর সমাধান আছে আপনার রান্না ঘরেই।

মশলা ও বিভিন্ন হারবাল উপাদান দিয়ে তৈরি চা খেয়েই এই ভাইরাসজনিত জ্বরের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তবে আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই সেসব হারবাল চা সম্পর্কে।
১. ধনে বীজের চা
ধনে বীজে নানা ধরনের ভিটামিন, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, অ্যান্টিবায়োটিক যৌগ ও উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন উদ্বায়ী তেল রয়েছে, যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে ভাইরাসজনিত জ্বর কমাতেও ভালো কাজ করে ধনে বীজ।

যেভাবে বানাবেন ধনের চা: এক গেলাস পানিতে এক চামচ ধনে বীজ মিশিয়ে ভালো করে ফোটান। এরপর মিশ্রণটিকে কিছুটা ঠাণ্ডা হতে দিন। ঠাণ্ডা হলে অল্প দুধ ও চিনি মিশিয়ে ভাইরাসজনিত জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিকে চায়ের মতো করে খেতে দিন। দিনে কয়েকবার এই ধনে-চা খেলে জ্বর কমবে।

২. হারবাল চা:
হারবাল চায়ে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান থাকে। জ্বর হলে এই চা উপকারী। শরীরকে আর্দ্র রাখে এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়ার শক্তি জোগায় হারবাল চা। দিনে দুই বা তিনবার গরম চা আপনাকে অনেকটা আরাম দিতে পারে।

যেভাবে তৈরি করবেন হারবাল চা: চায়ের মধ্যে লবঙ্গ, দারুচিনি, এলাচি, আদা, বিভিন্ন, ধরনের পাতা জাতীয় জিনিস যোগ তৈরি করতে পারেন হারবাল চা। তিন থেকে চারবার গরম চা আপনাকে অনেকটা আরাম দিতে পারে।

৩. জবা ফুলের চা
শুকনো জবা ফুলের পাপড়ি পানিতে ফুটিয়ে নিয়ে তৈরি করা যায় জবা চা। এর নিজস্ব টক স্বাদ আছে এবং রুবি পাথরের মতো লাল রঙ হয় এই চায়ের রঙ। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান এবং কোলেস্টেরলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ও যকৃত পরিষ্কার করার উপাদান আছে। তাছাড়া ভাইরাসজনিত জ্বরের আদর্শ পানীয়। এছাড়া আপনি প্রতিদিন সকালে জবা চা পান করলে আপনি পেতে পারেন অনেক স্বাস্থ্য উপকার।

৪. আদা চা
স্বাস্থ্যের গুণাগুণের বিচারে আদাকে বলা হয় ‘পাওয়ারহাউস’। এটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে। প্রদাহ ও বেদনানাশক গুণও রয়েছে আদায়। শুধু তাই নয়, ভাইরাসজনিত জ্বর কমাতেও ভালো কাজ করে আদা।

যেভাবে বানাবেন আদা চা: দুটো মাঝারি মাপের শুকনো আদার টুকরো কুচিয়ে এককাপ পানি দিন। মিশ্রণটি ফুটিয়ে নিয়ে ঠাণ্ডা হতে দিন। ঠাণ্ডা হলে ছেঁকে নিন। দিনে তিন থেকে চার বার এই মিশ্রণটি খেলে ভাইরাসজনিত জ্বরে উপকার পাবেন।

৫. তুলসি পাতার চা
ভাইরাসজনিত জ্বরে তুলসি পাতা অত্যন্ত কার্যকরি প্রাকৃতিক দাওয়াই। কারণ এতে নানা-অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান রয়েছে। এছাড়া এতে অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়াও জার্মিডিক্যাল ও ফাংগিসিডালের উপস্থিতির কারণে ভাইরাসজনিত জ্বরে তুলসি পাতার জুরি নেই।

কীভাবে খাবেন তুলসি পাতা চা: গোটা ২০টি তাজা তুলসি পাতা সংগ্রহ করে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। এক লিটার পানীয় পানিতে পাতাগুলো দিয়ে হাফ চামচ লবঙ্গ গুঁড়ো মেশান। এবার এই মিশ্রণটিকে ফুটিয়ে নিন। এক লিটার পানি কমে হাফ লিটার হয়ে এলে, আঁচ থেকে নামিয়ে নিন। জ্বর অবস্থায় দু-ঘণ্টা পরপর এই মিশ্রণটি এক কাপ করে খান। উপকার পাবেন।

৬. পুদিনা চা:
পুদিনার শীতল প্রভাবের কথা আমরা সবাই জানি। ১ কাপ ধোঁয়া ওঠা গরম পানিতে কয়েকটি পুদিনা পাতা চূর্ণ করে দিন। এর সাথে কয়েকফোঁটা লেবুর রস যোগ করতে পারেন স্বাদ বৃদ্ধির জন্য। এবার চুমুক দিয়ে পান করুন পুদিনা চা।

৭. মেথি চা:
মেথিতে আছে ডিওসজেনিন, স্যাপোনিনস, অ্যালকালয়েডসের মতো নানা উপাদান, যা সংক্রমণ ঠেকাতে পারে। এ সময় ভাইরাস জ্বর হলে মেথির চা খেলে কাজে লাগবে। নিয়মিত মেথি খেলে সর্দি-কাশি পালায়।

যেভাবে ব্যবহার করবেন: লেবু ও মধুর সঙ্গে এক চা-চামচ মেথি মিশিয়ে খেলে জ্বর পালাবে। মেথিতে মিউকিল্যাগ নামের একটি উপাদান আছে, যা গলাব্যথা সারাতে পারে। অল্প পানিতে মেথি সেদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে গড়গড়া করলে গলার সংক্রমণ দূর হয়।

পরামর্শ:
ভাইরাসজনিত জ্বর সাধারণত সেবা-যত্ন ও সঠিক ভাবে খাওয়াদাওয়া করলেই সেরে যায়। তবে জ্বর বেশি হলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিৎ।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech