বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

জিম্বাবুয়েকে এবার মাটিতে নামাল বাংলাদেশ

জিম্বাবুয়েকে এবার মাটিতে নামাল বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক :

জয়ের ছন্দে রীতিমতো উড়ছিল জিম্বাবুয়ে। সেই জিম্বাবুয়েকেই এবার মাটিতে নামাল বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে বাঁচা-মরার ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে শেষের নাটকীয়তায় হারিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল।

আজ রোববার ব্রিসবেনের গ্যাবায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৩ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালের লড়াইয়ে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। দলের জয়ে ভূমিকা রেখেছেন পেসাররা।

এদিন টস জিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন দলীয় অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ধীর গতিতে শুরুর পর শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৫০ রান। দলীয় ৩২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে শান্তর ৭১ রানে ভর করে জিম্বাবুয়েকে লড়াকু লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ।

১৫১ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে জিম্বাবুয়ে। দলীয় ৩৫ রানের মধ্যেই জিম্বাবুয়ের ৪ উইকেট তুলে নিলেন তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান। প্রথম ওভারে দলীয় ৪ রানে ওয়েসলি মাধেভেরেকে ৪(৩) ফেরান তাসকিন। দ্বিতীয় ওভারে বল করতে এসে হাসান মাহমুদ দেন ৭ রান। পরের ওভারে তাসকিন এসে আবারও উইকেট তুলে নেন। এবার দলীয় ১৭ রানে জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনকে ৮(৭) ফেরান তিনি।

৬ নম্বর ওভারে বলে আসেন আরেক পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। মাত্র ১ রান দিয়ে তুলে নেন ২ উইকেট। এর মধ্যে রয়েছেন জিম্বাবুয়ের অন্যতম ভরসা সিকান্দার রাজার ০(৩) উইকেট। এর আগে ৫.২ ওভারে মুস্তাফিজ মিল্টন শাম্বার ৮(১৫) উইকেট তুলে নেন।

রাজা আউট হলে উইলিয়ামস এবং চাকাভা মিলে ৩৪ রানের জুটি গড়েন। ১১.২ ওভারে তাসকিন চাকাভাকে আউট করে জুটি ভাঙেন। এরপরে উইলিয়ামস রায়ান বার্লকে নিয়ে উইকেটে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেন। এই জুটিতে আসে ৬৩ রান। যা জিম্বাবুয়েকে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দেয়। ৪২ বলে ৬৪ রান করা উইলিয়ামসকে রান আউট করে ফেরান সাকিব।

উইলিয়ামসের আউটের পরে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। শেষ ওভারে জিম্বাবুয়ের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৬ রান। বলে আসেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। প্রথম বলে ১ রান দিয়ে দ্বিতীয় বলে নেন উইকেট। তৃতীয় বলে ৪ ও চতুর্থ বলে ছক্কার পরে ম্যাচ দুলতে থাকে জিম্বাবুয়ের দিকে। দুই বলে দরকার মাত্র ৬ রান। পঞ্চম বলে সৈকত এনগারাভাকে আউট করলে ম্যাচে জমে ওঠে নাটকীয়তা। শেষ বলে দরকার ৫ রান। সোহান করেন স্টাম্পিং। জয়ের আনন্দে উল্লাস শুরু করে বাংলাদেশ শিবির। কিন্তু ততক্ষণে খেলার ছিল আরও বাকি। সোহান শেষ বলটি ধরেছিলেন স্টাম্পের আগে এসে। ফলাফল নো বল। মাঠ ছেড়ে গিয়েছিলেন ক্রিকেটাররা। এরপর নো বলের সংকেত আসলে ফের মাঠে নামতে দুদলকে। তবে মাঠে নেমেও শেষে আর সমীকরণ মেলাতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।

এর আগে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে রানের খাতা খোলার আগেই আউট হন ওপেনার সৌম্য সরকার। দলীয় ১০ রানে ব্লেসিং মুজারাবানির করা চতুর্থ বলে দারুণ এক ক্যাচ ধরেন রেজিস চাকাভা। পরে ৩২ রানে মুজারাবানির বলেই আউট হন লিটন দাস ১৪(১২)। ৫.৩ ওভারে শর্ট থার্ড ম্যানে টেন্ডাই চাতারার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন।

লিটনের পরে চাপের মুখে শান্তর সাথে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান মিলে ৫৪ রানের জুটি গড়েন। ১২.৫ ওভারে উইলিয়ামসের বলে মুজারাবানির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাকিব ২৩(২০)।

এরপরে বাংলাদেশের রানের খাতা এগিয়ে নিয়ে যান নাজমুল হোসেন শান্ত। দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে খেলেন ৭১ রানের ইনিংস। সাতটি ৪ ও একটি ছক্কা মেরে ৫৫ বলে ৭১ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে রানে ফেরার বার্তা দেন তিনি। এর আগে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ২০ বলে ২৫ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৯ বলে ৯ রান করেছিলেন শান্ত।

দলীয় ১২২ রানে সিকান্দার রাজার বলে ক্রেইগ আরভিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শান্ত। এরপরে বলার মতো একমাত্র আফিফ হোসেন করেন ১৯ বলে ২৯ রান। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ করে ১৫০ রান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৫০/৭ (সৌম্য ০, নাজমুল হোসেন শান্ত ৭১, লিটন ১৪, সাকিব ২৩, আফিফ ২৯, ইয়াসির ১*, নুরুল ১, সৈকত ৭; মুজারাবানি ২-০-১৩-২, এনগারাভা ৪-০-২৪-২, চাতারা ৩-০-১৮-০, সিকান্দার রাজা ৪-০-৩৫-১, উইলিয়ামস ২-০-১০-১)

জিম্বাবুয়ে: ২০ ওভারে ১৪৭/৮ (মাধেভেরে ৪, আরভিন ৮, মিল্টন শাম্বা ৮, উইলিয়ামস ৬৪, রাজা ০, চাকাভা ১৫, রায়ান ২৭ , ইভান্স ২, এনগারভা ৬ ; তাসকিন ৪-১-১৯-৩, মুস্তাফিজ ৪-০-১৫-২ , হাসান ৪-০-৩৬-০ , সাকিব ৪-০-৩৪-০, মোসাদ্দেক ৪-০-৩৪-২ )।

ফল: ৩ রানে জয়ী বাংলাদেশ।

প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ: তাসকিন আহমেদ।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech