স্পোর্টস ডেস্ক :
এক ম্যাচে এত উত্তেজনা, এত রোমাঞ্চ! তার ওপর দু-দুবার জয়! ভাবাই যায় না। এমনটি কখনো দেখেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, ম্যাচসেরা তাসকিন আহমেদ। দেখেননি পরাজিত দলের সেরা পারফরমার শন উইলিয়ামসনও। অবিশ্বাস্য এক চিত্রকল্পের ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতেছে ৩ রানে। এর চেয়ে কম রানে জয়ের রেকর্ড রয়েছে টাইগারদের।
শেষ ওভারের প্রতিটি বলেই ছিল চরম নাটকীয়তা। জিম্বাবুয়ের দরকার ছিল ১৬ রান। টাইগার অধিনায়ক বল তুলে দেন অফ স্পিনার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের হাতে। প্রথম বলে রায়ান বার্ল লেগ বাইয়ে ক্রিজ পরিবর্তন করেন। দ্বিতীয় বলে ডিপ মিড উইকেটে ইভান্স তালুবন্দী হন আফিফের। ৪ বলে দরকার ১৫ রান। ম্যাচ হেলে পড়ে সাকিবদের দিকে। তৃতীয় বলে লেগ বাইয়ে ৪। ৩ বলে ১১ রান। ম্যাচে ফেরে জিম্বাবুয়ে। চতুর্থ বলে এনগারাভা ডিপ ফাইন লেগে অবিশ্বাস্য এক ছক্কা মেরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিজেদের করে নেন। ২ বলে ৫ রান। সহজ টার্গেট। পঞ্চম বলে নুরুল হাসান সোহান ক্ষিপ্তগতিতে স্ট্যাম্পিং করেন এনগারাভাকে। জমে উঠে ম্যাচ। ১ বলে দরকার ৫। জিম্বাবুয়ে জিততে চায় ছক্কা মেরে। বাংলাদেশকে জিততে সর্বোচ্চ ৩ রান দিলেই হবে! এমন সমীকরণে মোসাদ্দেকের বলে ব্লেসিং মুজারাবানি স্ট্যাম্পিং হয়ে সাজঘরে ফেরেন। ৪ রানের জয় নিশ্চিত করে মাঠ থেকে উঠে যান দুই দলের খেলোয়াড়রা। কিন্তু মাঠে রয়ে যান আম্পায়ারদ্বয়। অপেক্ষায় থাকেন টিভি রিপ্লের। রিপ্লেতে পরিষ্কার দেখা গেছে বল স্ট্যাম্প পেরুনোর আগেই সোহান বল স্ট্যাম্পিং করেন। যা আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী ‘নো’ বল। ফলে নতুন করে ক্রিকেটাররা মাঠে ফেরেন। শেষ বলের সমীকরণ দাঁড়ায় ৪ রান। মোসাদ্দেকের আর্মারে রান নিতে ব্যর্থ হন মুঝারাবানি। ৩ রানের অবিশ্বাস্য জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
ম্যাচ পরবর্তী প্রেজেন্টেশনে সাকিব বলেন, ‘আমি সোহানকে বল সংগ্রহ করার সময় স্টাম্পের কাছাকাছি আসতে দেখেছিলাম। আমি তাকে সাবধানে থাকতে বলেছিলাম, কিন্তু তাই হয়েছিল শেষে।’
পরের বলে সোহান অবশ্য আর ভুল করেননি, ফ্রি-হিট বলে মুজারাবানি আবার মিস করেন। ফলে ৩ রানের স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সাকিব আল হাসানের দল। ম্যাচ শেষে এ নিয়ে অবশ্য সাকিব জানান আগেই তিনি সোহানকে সতর্ক করেছিলেন।
পেসাররা ম্যাচের গতিপথ পরিবর্তন করে দেন তাড়াতাড়ি জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডার ব্যাটারদের ফিরিয়ে। এ নিয়ে সাকিব বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা জানতাম তাদের সাতজন ব্যাটার আছে। তাই সেই পর্যায়ে আমাদের উইকেট নেওয়া দরকার ছিল। এবং পেসাররা দুর্দান্ত বোলিং করেছে। একইসঙ্গে শন উইলিয়ামসের রান আউট ম্যাচের একটি টার্নিং পয়েন্ট।’