বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

১৬ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ১৫১

১৬ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ১৫১

স্পোর্টস ডেস্ক :

লক্ষ্যটা মোটেই সহজ নয়। জয় পেতে বাংলাদেশকে পাড়িতে দিতে ১৮৪। এই রান তাড়ায় অবশ্য বাংলাদেশের শুরুটাও দারুণ হয়েছে। ডানহাতি ওপেনার লিটন দাসের ব্যাটে চড়ে বাংলাদেশের ঝোড়ো শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের।

এরপরই বাধা হয়ে দাঁড়ায় বৃষ্টি। যার কারণে বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য ১৬ ওভারে ১৫১ রানের। মানে  বাকি ৯ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ৮৫ রান।

আজ বুধবার বিশ্বকাপে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮৪ রান করে ভারত। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন বিরাট কোহলি। ৪৪ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় সাজানো তাঁর ইনিংস।

ওভালে টস জিতে ফিল্ডিং নেয় বাংলাদেশ। আগে ফিল্ডিংয়ে নেমে প্রথম ওভারটা দারুণ কাটে বাংলাদেশের। প্রথম ওভারে মাত্র ১ রান দেন তাসকিন। কিন্তু পরের ওভারে সেই রিদম ধরে রাখতে পারেননি শরিফুল। এক ছক্কা খেয়ে তিনি দেন ৯ রান।

তৃতীয় ওভারে ফের আসেন তাসকিন। বল হাতে এসেই রোহিতকে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন। ওভারের চতুর্থ বলে সহজ ক্যাচ তুলে দেন ভারতীয় অধিনায়ক। কিন্তু সেই ক্যাচ মিস করে দলকে ডোবান হাসান মাহমুদ।

অবশ্য সেই হতাশা বেশিদূর যায়নি। পরের ওভারে হাসান বল হাতে প্রতিদান দেন। নিজের প্রথম ওভারে এসেই তুলে নেন রোহিতের উইকেট। তরুণ পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে আপার কাট করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দেন রোহিত। সেখানে থাকা ফিল্ডার ইয়াসির আলি ভুল করেননি মুঠোয় জমাতে। ৮ বলে দুই রান করেন ভারতীয় তারকা।

শুরুর চাপ কাটিয়ে জুটি গড়ে তোলেন কোহলি ও রাহুল। দ্বিতীয় জুটিতে স্কোরবোর্ডে ৬৭ রান তোলে ভারত। দশম ওভারে সাকিব এসে ভাঙেন এই জুটি। ফিরিয়ে দেন হাফসেঞ্চুরি করা রাহুলকে। ৩২ বলে ৩ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস।

রাহুলকে হারানোর পরও কমেনি ভারতের রানের গতি। কারণ উইকেটে থিতু হয়ে যায় কোহলি-যাদবের জুটি। এই জুটিতে ৩৮ রান করেন তিনি। জমে ওঠা এই জুটিও ভাঙেন সাকিব। বাংলাদেশ অধিনায়কের বলে জায়গা করে মারতে চেয়েছিলেন যাদব। কিন্তু সাকিব বল স্লো করে দেন। তখন বল গিয়ে আঘাত করে স্টাম্পে। ৪ বাউন্ডারিতে ১৬ বলে ৩০ রানের ইনিংস উপহার দেন যাদব।

এরপর পান্ডিয়াকে টিকতে দেননি হাসান মাহমুদ। ৬ রানে বিদায় করেন ভারতীয় অলরাউন্ডারকে। তবে থিতু হয়ে যান কোহলি। ৩৭ বলে তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। তাঁর ব্যাটে চড়েই লড়াইয়ের পুঁজি পায় ভারত। মাঝে কার্তিক ৭ রান। শেষ দিকে শরিফুলকে তুলোধুনো করে বড় পুঁজি পেয়ে যায় ভারত।

বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে ৩৩ রানে দুই উইকেট নেন সাকিব। হাসান মাহমুদ নেন তিনটি। সবচেয়ে খরুচে বোলিং করেন শরিফুল। তিনি ৪ ওভারে দেন ৫৭ রান।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech