সিন্ডিকেটের কারণে সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করা যাচ্ছে না। দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জীবন চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
মাঝে কয়েক দিন কিছুটা কমতি থাকার পর আবার বেড়ে যায় পেঁয়াজের দাম। বর্তমানে খুচরা বাজারে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ২৪০-২৫০ টাকা, মিয়ানমারের পেঁয়াজ ২২০-২৩০ টাকা এবং চীন-মিসরের বড় পেঁয়াজ ২০০-২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। সব মিলিয়ে পেঁয়াজের দাম নাগালের বাইরে।
এ অবস্থায় চীন থেকে আমদানিকৃত একটি পেঁয়াজ ১০০ টাকা দিয়ে কিনেছেন সাতক্ষীরার ফজলুর রহমান। ওজন ভেদে এসব চীনা পেঁয়াজ ১০০ টাকার কমবেশি বিক্রি হয়। এসব পেঁয়াজের কেজি ২০০-২২০ টাকা।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরার বড়বাজার ঘুরে দেখা যায়, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মধ্যে নতুন করে বেড়েছে আলু ও রসুনের দাম। পেঁয়াজের মূল্য লাগামহীন।
বড়বাজারের আলুর আড়তদার ফজলুর রহমান বলেন, ৪৬০ গ্রাম ওজনের একটি পেঁয়াজ ১০০ টাকা দিয়ে কিনেছি। এসব চীনা পেঁয়াজের কেজি ২২০ টাকা। জাহাঙ্গীর স্টোর ৪৬০ গ্রাম ওজনের পেঁয়াজটি কিনেছি আমি।
ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের আগেও এসব পেঁয়াজের কেজি ১৫-২০ টাকা বিক্রি হয়েছিল। সেই পেঁয়াজ এখন ২২০ টাকায় কিনতে হয়। বলতে গেলে ক্রেতাদের নাগালের বাইরে পেঁয়াজের দাম।
আলুর আড়তদার ফজলুর রহমান বলেন, পেঁয়াজের দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এবার বেড়েছে আলুর দাম। প্রতি কেজি আলুতে ১০ টাকা বেড়েছে। যে আলুর কেজি কয়েকদিন আগে ১৬-১৭ টাকা বিক্রি করেছি এখন সে আলু ২৭-২৮ টাকা বিক্রি করতে হয়। রসুনের দাম ১১০ টাকা থেকে বেড়ে ১৩০-১৪০ টাকা হয়ে গেছে।
সুলতানপুর এলাকার বাসিন্দা ববি সুলতানা বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বেড়ে গেছে। পেঁপে, কুমড়া, ফুলকপি, পটল, বাঁধাকপিসহ সব তরকারি কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। পেঁয়াজের দাম নাগালের বাইরে। এখন আমরা পেঁয়াজ কিনি না। অনেকেই কেনে না।
বড়বাজারের বাজারের ব্যবসায়ী আমীর আলী বলেন, কেনা দামের চেয়ে প্রত্যেক মালামালে কেজিতে ১০-২০ টাকা বেশি বিক্রি করি। অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ কেনায় বেশি দামেই বিক্রি করতে হয়। নতুন পেঁয়াজ বাজারে এলে দাম কমবে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, আমরা নিয়মিত বাজারে অভিযান পরিচালনা করছি। কোনো ব্যবসায়ী যাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মজুত রেখে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে সেটি মনিটরিং করা হয়। বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। এরপরও যারা বেশি দামে জিনিসপত্র বিক্রি করবে তাদেরকে আইনের আওতায় আনব আমরা।