তাই বলে একটি সুযোগও কাজে লাগবে না! সুযোগের হাফ-সেঞ্চুরি করেও একটি বল জালে পাঠাতে পারেনি দক্ষিণ কোরিয়া ও উরুগুয়ে। শেষ পর্যন্ত আরও একটি ড্রয়ের খাতায় নাম লিখিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া-উরুগুয়ে। শুরু থেকে শেষ বাঁশি পর্যন্ত দু’দল কম চেষ্টা করেনি একটি গোল পেতে। তবে গোল শূন্য ড্র নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে দুদলকে।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় আল রায়ান শহরের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে দক্ষিণ কোরিয়া-উরুগুয়ে মাঠে নামে। ১৮ মিনিটে উরুগুয়ের মিডফিল্ডার ফেডেরিকো ভালভার্দের বাঁ পায়ের নেওয়া শটটি গোল বারের অনেক উপর দিয়ে চলে যায়। এখান থেকেই শুরু হয় গোলের সুযোগ মিস হওয়ার মিছিল।
৩৩ মিনিটে দক্ষিণ কোরিয়ান কিম মুন-হুয়ানের বানিয়ে দেওয়া বলে হাওয়াং উই-জো গোল করতে ব্যর্থ হন। কিছুক্ষণ পরে হাওয়াং ইন-বেয়ম আরেকটি সুযোগ মিস করেন। ৪২ মিনিটে ফেডেরিকো ভালভার্দের তৈরি করে দেওয়া বলে হেড দেন দিয়েগো গোডিন। কিন্তু দুর্ভাগ্য উরুগুয়ের। বলটি গোল পোস্টে লেগে বাইরে চলে যায়।
প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে সুযোগ নষ্ট করেন উরুগুয়ের ডিফেন্ডার হোসে মারিয়া জিমেনেজ। ম্যাথিয়াস অলিভেরার বানিয়ে দেওয়া বলটি ঠিকমতো মাথায় নিতে পারেননি জিমেনেজ। নাহলে এখান থেকে উরুগুয়ে পেয়ে যেত কাঙ্ক্ষিত গোলটি। ৬৪ মিনিটের মাথায় দলে বদল আনে উরুগুয়ে।
তারকা লুইস সুয়ারেজ মাঠে ছিলেন একেবারেই নিষ্প্রভ। ফলে তাঁকে উঠিয়ে মাঠে নামানো হয় অ্যাডিনসন কাভানিকে। ৮০ মিনিটে নিশ্চিত গোল থেকে বঞ্চিত হয় উরুগুয়ে। কাভানির বানিয়ে দেওয়া বলটিতে হেড দেওয়ার চেষ্টা করেন ডারুউইন নুয়েজ। উন্মুক্ত গোল পেয়েও জালে বল জড়াতে পারলেন না স্ট্রাইকার নুয়েজ। কাভানির বানানো বলটিতে মাথা বাধাতে পারলেই নিশ্চিত গোলের দেখা পাওয়া যেত। কিন্তু বরাবরের মতো এবারও নষ্ট হয় গোলের সুযোগ।
একটু পরে কাভানিই রদ্রিগো বেনতানচুরের দেওয়া বলটি মিস করেন। শেষ মুহূর্তে এসে ভালভার্দের বলটি গোলপোস্টে লেগে উরুগুয়ের শেষ সুযোগটি বিফলে যায়। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার হাওয়াং ইন-বেয়ম এবং সন হিউং-মিনের শেষ সুযোগ শুধু আফসোসকেই বাড়িয়েছে। দিনশেষে ফলাফল দাঁড়ায় গোল শূন্য ড্র।
বল দখলের লড়াইয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার চেয়ে কিছুটা এগিয়ে ছিল উরুগুয়ে। উরুগুয়ের পায়ে বল ছিল ৫৬ শতাংশ সময় এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ছিল ৪৪ শতাংশ। উরুগুয়ে গোলে শট নিয়েছে ১০ বার এবং কোরিয়া নিয়েছে ৭ বার।