কাতার বিশ্বকাপে চমক দেখিয়েছিল সৌদি আরব। দেখিয়েছিল জাপানও। সৌদি হারিয়েছিল আর্জেন্টিনাকে, জাপান সূর্যোদয় দেখিয়েছিল জার্মানিকে। তবে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে সৌদির মতোই পরাস্ত হলো জাপান।
আজ রোববার বিকেল ৪টায় কাতারের আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল জাপান-কোস্টারিকা। প্রথম ম্যাচে জাপান জয় নিয়ে দারুণ সূচনা করলেও স্পেনের বিপক্ষে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়ে এসেছিল কোস্টারিকা। সেই বিধ্বস্ত কোস্টারিকাই জাপানকে ১-০ গোলে হারাল।
ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেছেন কিশার ফুলার। মধ্যমাঠের বল জাপানের ডি-বক্সে গেলে তাঁরা বলটি ক্লিয়ার করতে পারেনি। প্রথমে কোস্টারিকার মিডফিল্ডার ইয়েলতসিন তেজেদা জাপানের গোলের দিকে বল পাঠান। বলটি পায়ে নিয়ে দুর্দান্ত এক শট করেন ফুলার। জাপানের গোলরক্ষক সুইশি গোন্দা হাত ছোঁয়ালেও বলের নাগাল টানতে পারেননি। পরিণতি হিসেবে গোল হজম করতে হলো।
গোল খেয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় জাপান। করে বসে কয়েকটি ফাউল। তবে ৮৮ মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিল জাপান। কোস্টারিকার গোলরক্ষক কিলর নাভাসের ক্যারিশমায় সে যাত্রায় দলকে বাঁচিয়ে দেন তিনি। ভঙ্গ হয় জাপানের জয়ের আশা। প্রথম ম্যাচের দুর্দান্ত জাপানকে শেষ পর্যন্ত মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়তে হয়।
এদিন প্রথমার্ধের ৩ মিনিটে আয়েসে উয়েদার বাড়িয়ে দেওয়া বলটি কাজে লাগাতে পারেনি জাপানের স্ট্রাইকার রিতসু দোয়ান। এরপরে একঘেয়ে ফুটবল শুরু হয় আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়ামে। কোনো দলকেই শাণিত আক্রমণ করতে দেখা যায়নি।
৩৫ মিনিটে কোস্টারিকার ডিফেন্ডার ফ্রান্সিসকো ক্যালভো গোলের সুযোগ নষ্ট করেন। দূর থেকে নেওয়া শটটি লক্ষ্যমতো পৌঁছাতে পারেনি। কয়েক মুহূর্ত পরেই স্ট্রাইকার জোয়েল ক্যাম্পবেল মিস করেন জাপানের গোল সীমানা। ফলে প্রথমার্ধে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখাও আর পাওয়া যায়নি।
জাপানের মধ্যমাঠের খেলোয়াড় ওয়াতারু অ্যান্ডো কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন গোল আদায় করার। কিন্তু অন্য সকলের মতো দুর্বল আক্রমণের কারণে শেষ পর্যন্ত গোল আর আসেনি। ফলে গোল শূন্য ড্র নিয়ে দুদলকে বিরতিতে যেতে হয়েছিল। বিরতি শেষে আক্রমণে জোর দিয়েছিল জাপান। মুর্হুমুহু আক্রমণে কোস্টারিকার কোণঠাসা অবস্থাও তৈরি হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত উদ্দীপনা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় এশিয়ার দেশ জাপান। ১-০ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁদের।