নেইমার, ভিনিসিউস, রিচার্লিসনদের ভিড়ে একজন প্রশংসা কমই শোনা যায় ব্রাজিল ভক্তদের মুখে। তিনি হলেন, মিডফিল্ডার ক্যাসেমিরো। যিনি ব্রাজিলের মাঝমাঠ আগলে রাখার পাশাপাশি ভূমিকা রাখেন আক্রমণেও। ভক্তরা মনে না রাখলেও সতীর্থরা খুশি তাকে নিয়ে। ক্যাসেমিরোকে দলে পাওয়া মানে অন্যরকম স্বস্তি তাদের কাছে। যেমন টা জানিয়েছেন, দলের ডিফেন্ডার অ্যালেক্স তেলেস।
কাতার বিশ্বকাপে ‘জি’- গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে গতকাল দিবাগত রাতে সুইজারল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল। ৮৪ মিনিটে জয়সূচক গোল আসে মিডফিল্ডার ক্যাসেমিরোর পা থেকেই! ব্রাজিলের মাঝমাঠের অন্যতম সেরা অস্ত্র কাল আবার প্রমাণ করলেন, কেনো তিনি অন্যদের চেয়ে আলাদা।
নেইমারকে ছাড়া আক্রমণে কিছুটা শূন্যতা চোখে পড়লেও ক্যাসেমিরো শেষ পর্যন্ত সেই অভাব পূরণ করে দেন। কি মাঝমাঠ, কি আক্রমণ! সব জায়গায় রাখেন আধিপত্য। তাতে ব্রাজিলও পায় জয়ের স্বস্তি। সঙ্গে গুরুপূর্ণ ৩ পয়েন্ট। যাতে ভর করে ফ্রান্সের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে কাতার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে পা রাখে তিতের শিষ্যরা।
ফিফা প্লাসে ক্যাসেমিরোকে নিয়ে অ্যালেক্স বলেন, ‘তিনি আমাদের মূল খেলোয়ারদের একজন। বল পায়ে দলে ভারসাম্য নিয়ে আসেন। আমার মতে, প্রথম ম্যাচে তিনি দারুণ খেলেছেন। আর দ্বিতীয়টিতে (সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে) তিনি প্রমাণ করেন তিনি কোন মাপের খেলোয়াড়। যিনি রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে অনেক (৫টি) চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন। তাকে দলে পাওয়া আমাদের জন্য খুব ভালো ব্যাপার।’
সুইসদের বিপক্ষে পুরো ম্যাচে ক্যাসেমিরো ছিলেন সপ্রভীত। একাধিক সফল ট্যাকল করেছেন। আগলে রেখেছেন মধ্যমাঠ। অফসাইডের কারণে বাতিল হওয়া ভিনিসিউস জুনিয়রের গোলটির উৎসও ছিলেন ক্যাসেমিরো।
ক্যাসেমিরোকে অনেক পকেট ডায়নামাইট বলে ডাকে। তা ভুল কিছু ডাকেন না। প্রতিপক্ষের আক্রমণকে একপ্রকার পকেটেই পুরে রাখেন তিনি। তাতে লাভটা হয় ব্রাজিলের। সাম্বার ছন্দে আনন্দ জাগায় কোটি সমর্থকের প্রাণে।