স্পোর্টস ডেস্ক :
১৯৯০ সালের ৮ জুন বিশ্বকাপ ইতিহাসের বড় অঘটনগুলোর একটা ঘটিয়ে দেয় ক্যামেরুন। মিলানের সান সিরো স্টেডিয়ামে ওমান বিয়িকের গোলে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে দেয় তারা। সেই বিশ্বকাপে পরের দুই ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে থেকে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করে ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনা। এরপর ফাইনালও খেলে আলবেসিলেস্তরা। ২২ বছর পর আরও একবার অঘটনের শিকার আর্জেন্টিনা। কাতার বিশ্বকাপে সৌদি আরবের কাছে ২-১ গোলে হেরে মিশন শুরু করেন মেসিরা। দ্বিতীয় ম্যাচে মেক্সিকোকে ২-০ গোলে হারিয়ে আশা বাঁচিয়ে রাখলেও শঙ্কা কাটেনি এখনো। এই শঙ্কা নিয়েই আজ নাইন সেভেন ফোর স্টেডিয়ামে পোল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে আর্জেন্টিনা।
সি গ্রুপে দুই ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান পোল্যান্ডের। সমান ম্যাচে তিন পয়েন্ট আর্জেন্টিনার। সৌদি আরবেরও আছে তিন পয়েন্ট। মেক্সিকো এক পয়েন্ট নিয়ে সবার নিচে। তবে মেক্সিকোর সুবিধা হলো, তাদের প্রতিপক্ষ সৌদি আরব। যারা ঘটনাক্রমে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে দিলেও পোল্যান্ডের বিপক্ষেই নিজেদের সত্যিকারের রূপ মেলে দিয়েছে। তবে মেক্সিকো-সৌদি আরব ম্যাচের ফল যাই হোক, আর্জেন্টিনার বিপদ কমছে না। পোল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই মেসিদের। বিশেষ করে মেক্সিকো একটু বড় ব্যবধানে জিতে গেলে আর্জেন্টিনা ড্র করলেও বিদায় নিতে পারে।
গ্রুপ পর্বের কঠিন এই সমীকরণটা মিলিয়ে নিতেই চেষ্টায় আছেন আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি। সাথে আরেক দুশ্চিন্তার নাম লেভানডোভস্কি।
বার্সার এই পোলিশ স্ট্রাইকার বর্তমান সময়ে অত্যন্ত আলোচিত। মূলত তার পারফরম্যান্সের উপর ভিত্তি করেই পোল্যান্ডের সকল শক্তি, যেমন মেসিকে কেন্দ্র করে আর্জেন্টিনা। সংবাদ সম্মেলনে এক পোলিশ সাংবাদিক স্ক্যালোনির কাছে প্রশ্ন করেছিলেন, বর্তমানে মেসি ও লেভানডোভস্কির মধ্যে কে এগিয়ে?
আর্জেন্টাইন কোচ পোলিশ ফুটবলারকে প্রশংসা ভাসালেও কৌশলে উত্তর এড়িয়ে গেছেন, ‘এক বাক্যে বলতে গেলে, সে দারুণ খেলোয়াড়। অত্যন্ত ভালো ফুটবলার তো বটেই, গ্রেটের পর্যায়েও। তবে এক খেলোয়াড়ের সঙ্গে আরেক খেলোয়াড়ের তুলনাটা সমীচীন নয়।’
মেসি যেমন খেলা পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন। পোলিশ এই ফুটবলারও তেমনই। তাই তার দিকে বাড়তি নজর রয়েছে আর্জেন্টাইন কোচের, ‘অবশ্যই তাকে নিয়ে আমাদের বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আসা ডিফেন্ডার লিসান্দো মার্টিনেজের দৃষ্টিও লেভানডোভস্কির উপর, ‘নিঃসন্দেহে তিনি বড় খেলোয়াড়। তাকে আটকে রাখাই আমাদের চ্যালেঞ্জ। আমরা আশা করি সেই পরিকল্পনাই সফল হব।’